
ফাইল ছবি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ লক্ষ্যে প্রবাসে নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে আগামী সপ্তাহ থেকেই ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রবাসী ভোটারের কাছে দুটি করে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। ভোট দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাছের পোস্টবাক্সে ফেরত খাম জমা দিতে হবে। নিবন্ধনের মতোই ব্যালট ফেরত পাঠানোর জন্যও একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটগ্রহণের আগের দিন সব পোস্টাল ব্যালট সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। ভোটের পর পৌঁছানো ব্যালট গণনায় নেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশনের ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যালট ফেরত পাঠানোর সময় নির্ধারণ করা হতে পারে, প্রয়োজনে দুই-একদিন বাড়ানোও হতে পারে।
আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের দিন রেখে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২১ জানুয়ারি।
ইসি কর্মকর্তাদের ধারণা, ১৮ ডিসেম্বরের দিকেই নিবন্ধিত প্রবাসী ভোটারদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হতে পারে। প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। অর্থাৎ, ২১ জানুয়ারির পরই ভোট দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যালট ফেরত পাঠাতে হবে।
তফসিল ঘোষণাকালে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, প্রায় অকার্যকর পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থাকে এবার কার্যকর রূপ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। একইভাবে দেশের ভেতরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তারা ১৭ ডিসেম্বর থেকে একই অ্যাপে নিবন্ধন করতে পারবেন, যা চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ব্যালট পেপারে নৌকা ছাড়া নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট ১১৮টি প্রতীক থাকবে। পাশাপাশি থাকবে ‘না’ ভোটের অপশন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আসনভিত্তিক প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক দেখে পোস্টাল ব্যালটে ‘টিক’ চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন নিবন্ধিত ভোটাররা।






































