
ফাইল ছবি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে অভিহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। সেসময় তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সীমান্তে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে বলেন, হামলাকারীরা যেন কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে না পারে। এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থান–সংক্রান্ত ঘটনায় যেসব ব্যক্তি সম্ভাব্য টার্গেটে থাকতে পারেন তাদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশও দেন তিনি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, যেকোনো মূল্যে এ ধরনের নাশকতা ব্যর্থ করা হবে এবং অপশক্তির আঘাত কখনোই বরদাশত করা হবে না।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট বানচালের উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আঘাত যত বড়ই হোক, কোনো শক্তিই আসন্ন নির্বাচনকে পণ্ড করতে পারবে না। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালুর সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি শিগগিরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ থাকে।


































