Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নতুন যুগের কম্পিউটার ‘দ্য মেশিন’ আনছে এইচপি

hpনতুন যুগের কম্পিউটার ‘দ্য মেশিন’ আনতে কাজ করছে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি হিউলেট প্যাকার্ড (এইচপি)। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে নতুন এ কম্পিউটারের পাশাপাশি অপারেটিং সিস্টেম ‘লিনাক্স প্লাস প্লাস’ উদ্বোধন করবে প্রতিষ্ঠানটি। ধারণা করা হচ্ছে, এইচপির নতুন কম্পিউটারটি সংশ্লিষ্ট খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। এমনকি নতুন এ কম্পিউটার প্রযুক্তি খাতকেও বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর ম্যাশেবল।

এইচপি সংশ্লিষ্টরা জানায়, তাদের নতুন কম্পিউটারটি হবে জ্বালানিসাশ্রয়ী ও বর্তমানের চেয়ে বেশি দক্ষ। দ্য মেশিনের প্রধান স্থপতি কার্ক ব্রেসনিকার এ বিষয়ে জানান, শুরু থেকে এ পর্যন্ত কম্পিউটারভিত্তিক সেবার অনেক পরিবর্তন এলেও মূল কম্পিউটার প্রযুক্তির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। কম্পিউটার প্রযুক্তি একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে এসে থেমে রয়েছে। এ প্রযুক্তি সামনের দিকে না এগুনোর কারণে বিশ্ব পিছিয়ে পড়ছে। এ অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই নতুন কম্পিউটার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ২০১৬ সাল নাগাদ কম্পিউটারটি ব্যবহার উপযোগী হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়। তবে আগামী বছরের জুনেই কম্পিউটারটিতে ব্যবহারযোগ্য অপারেটিং সিস্টেমের উদ্বোধন করা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, কম্পিউটারটি বাজারে ছাড়তে দেরি হলেও এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে গ্রাহকদের আগে থেকেই জানা থাকতে হবে। কারণ নতুন কম্পিউটারটির ব্যবহারবিধি বর্তমানের চেয়ে ভিন্ন হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি নতুন কম্পিউটারের বিভিন্ন ব্যবস্থা ও সেবার আপডেট গ্রাহকদের জানাবে বলেও জানানো হয়।

chardike-ad

মূলত মেমোরি ব্যবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে কম্পিউটারটিতে ভিন্নতা আনা হবে। সাধারণ কম্পিউটার ব্যবস্থায় স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে সবাই যে কম্পিউটার ব্যবহার করছে, তাতে স্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করলে তা হার্ডডিস্ক ড্রাইভে চলে যায়। আর অস্থায়ীভাবে তথ্য রিড অনলি মেমোরিতে (র্যাম) জমা থাকে। কিন্তু এইচপির নতুন কম্পিউটারটিতে দুই ধরনের পরিবর্তে এক ধরনের তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকবে। বর্তমান কম্পিউটার ব্যবস্থার র্যামে যে তথ্য জমা থাকে, হঠাত্ বিদ্যুত্ চলে গেলে তা মুছে যায়। কিন্তু এইচপির নতুন কম্পিউটার ব্যবস্থাটিতে এ ধরনের কোনো সমস্যা থাকবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সার্ভার সেবা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গুগল, ফেসবুকের মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সার্ভার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। এইচপির নতুন কম্পিউটারটি গুগল, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। বিশ্লেষকদের মতে, এইচপি তাদের ধুঁকতে থাকা ব্যবসাকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে নতুন উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের দ্য মেশিন কম্পিউটারটি উদ্ভাবনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এ খাতে আরো অর্থ বিনিয়োগ করবে বলে জানান ব্রেসনিকার। তবে এ খাতের বিনিয়োগের মোট পরিমাণ জানা যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা বিভাগে কাজ করেন প্রায় ২০০ জন। এর মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ গবেষকই দ্য মেশিন তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন।

এইচপির নতুন কম্পিউটারটি সার্ভার ব্যবস্থায় ব্যবহূত সাম্প্রতিক কম্পিউটারের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ শক্তিশালী হবে। এর ব্যবহারে জ্বালানির খরচ অনেকাংশে কমবে। পাশাপাশি এর আকারও তুলনামূলক ছোট হবে। ব্রেসনিকারের জানানো তথ্যমতে, নতুন কম্পিউটার ব্যবস্থা ভবিষ্যতে ছোট আকারের ডিভাইস অর্থাত্ মোবাইল ডিভাইসেও ব্যবহার করা সম্ভব হতে পারে। ২০১৬ সালে বাজারে আসার পরই এইচপির সম্ভাবনাময় নতুন কম্পিউটার ব্যবস্থার ভবিষ্যত্ নির্ধারিত হবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। বণিকবার্তা।