
ফাইল ছবি
দেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম। এ অবস্থায় মজুদ ও পাইপলাইনে থাকা আনঅফিশিয়াল (অনিবন্ধিত) মোবাইল ফোন বিক্রি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে হ্যান্ডসেট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি, বিটিআরসি এবং মোবাইল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সরকার এ বিষয়ে ঘোষণা দেবে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মার্চ মাস পর্যন্ত দেশের বাজারে আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন বিক্রি করা যাবে, এবং এই সময়ের মধ্যে যেসব আনঅফিশিয়াল ফোন কেনা হবে—সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত ভোক্তাদের কোনো অতিরিক্ত প্রক্রিয়া ছাড়াই আনঅফিশিয়াল ফোন ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। তবে মার্চের পর থেকে আনঅফিশিয়াল ফোন বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে।
বৈঠক শেষে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি মো. আসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “বিক্রেতারা মার্চ পর্যন্ত সময় পাবেন। এরপর আনঅফিশিয়াল হ্যান্ডসেট বিক্রির কোনো সুযোগ থাকবে না। বৃহস্পতিবার সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।”
এদিকে, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সংস্কার, একচেটিয়া সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ এবং মুঠোফোনের উন্মুক্ত আমদানির সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন মুঠোফোন ব্যবসায়ীরা।
বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর ব্যবসায়ীরা সড়কে কিছু কাঠ ও বাঁশের টুকরো জড়ো করে আগুন ধরিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেখানে তারা যানবাহন ভাঙচুর করছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
ফোন বিক্রেতাদের এই আন্দোলনের বিষয়ে মো. আসলাম বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলন প্রত্যহারের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে।









































