বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, বেগম জিয়ার পরিবার রক্ষা পেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর জন্য। জিয়াউর রহমান তাকে ডির্ভোস দিতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি আর ডির্ভোস দেননি। বঙ্গবন্ধু দেশে আসার পর দুই মেয়ের খোঁজ নেননি; নিয়েছিলেন তৃতীয় মেয়ে খালেদার খোঁজ। এখন সেই মেয়েই বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিনে জন্মদিন পালন করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিকৃত ইতিহাস প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যখন কোনো স্বাধীন জাতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলে তখনই ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা চলে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর হত্যাকারীরা বুঝতে পেরেছিল আদর্শকে হত্যা করা যায় না। তাই তখনই তার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিবৃতি শুরু হলো।
তিনি বলেন, এইসব বিকৃত ইতিহাস পাকিস্তান থেকে সরবরাহ করা হয়। এগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা চলছে।
আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, বেগম জিয়ার পরিবার রক্ষা পেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর জন্য। জিয়াউর রহমান তাকে ডির্ভোস দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি আর ডির্ভোস দেননি। বঙ্গবন্ধু দেশে আসার পর দুই মেয়ের খোঁজ নেননি নিয়েছিলেন তৃতীয় মেয়ে খালেদার খোঁজ। এখন সেই মেয়েই বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিনে জন্মদিন পালন করেন।
তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃতি নয়, এগুলি চরম অপরাধ। জার্মান ব্রিটেনের মতো আইন করে ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিচার করা হোক।
গাফফার চৌধুরী বলেন, আমার ধারণা ক্ষমতা না পেয়ে তারেক রহমান পাগল হয়ে গেছে। সিরাজ উদ দৌলার হত্যাকারী মিরনের মতো তার দশা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা করা হোক।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন বলেছেন দেশে গনতন্ত্র নাই।কামাল হোসেনের গণতন্ত্র আমি চাই না। আমি শেখ হাসিনার গণতন্ত্র চাই। পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচন করে শেখ হাসিনা দেশকে বাঁচিয়েছেন। ইতিহাসের বিকৃতি রোধ করা গেলে অনেক রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান হেয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি এএসএম মেজবাউদ্দিন।
আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভিসি , আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান প্রমুখ।