Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কায়সারের বিরুদ্ধে মামলার রায় কাল

kaysar-largeeeমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রাক্তন কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করা হবে।

chardike-ad

সোমবার ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২০ আগস্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ট্রাইব্যুনাল অপেক্ষমাণ রাখেন। একই সঙ্গে কায়সারের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে কায়সার জামিনে ছিলেন।

ট্রাইব্যুনালে কায়সারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থান শেষ করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত।

গত ৭ আগস্ট থেকে কায়সারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান তরফদার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। একই দিনে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ষষ্ঠ কার্যদিবস কায়সারের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে।

গত ২৩ জুলাই প্রসিকিউশনের ৩২তম সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মনোয়ারা বেগমের জেরা শেষে আদালতের নির্দেশে প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত কায়সারের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। ওইদিন থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত মোট ছয় কার্য দিবস আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত।

এর আগে এ মামলায় ৩১ জন সাক্ষী কায়সারের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিপক্ষ তাদের জেরাও করেন। তবে ট্রাইব্যুনালে আসামি হিসেবে কায়সারের পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া হয়নি।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল-২। গত বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় আদালত।

গত ৯ মার্চ থেকে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। গত বছরের ১৫ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২১ মে কায়সারকে রাজধানী অ্যাপলো হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কায়সারের বিরুদ্ধে গত ১০ নভেম্বর ১৮টি অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেছে প্রসিকিউশন।

গত বছরের ৩০ জুলাই কায়সারকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয় ট্রাইব্যুনাল-২। মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন আসামিদের মধ্যে কায়সার দ্বিতীয় আসামি যাকে জামিনে রেখে বিচার কাজ পরিচালিত হয়।

২০১২ সালের ১৫ মে বুধবার কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২১ মে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টায় কায়সারকে রাজধানী অ্যাপলো হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

তদন্ত সংস্থার নথিতে সৈয়দ মো. কায়সারের পরিচয়ে বলা হয়েছে, তার বাবা সৈয়দ সঈদউদ্দিন ১৯৬২ সালে সিলেট-৭ আসন থেকে কনভেনশন মুসলিম লীগের এমএনএ নির্বাচিত হয়। সৈয়দ কায়সার ১৯৭১ সালে তিনি দখলদার পাকিস্তান আর্মির দোসর হিসেবে তাদের পক্ষে অবস্থান নেয়। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে তিনি আত্মগোপন করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।