Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ওবামার নিরাপত্তায় এতো কিছু!

barak_obama২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে ভারতে আসবেন। তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের গোয়েন্দাদের মাথা নষ্ট হওয়ার যোগাড়। যেনো তেনো কেউ তো আর নন। এ যে সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি!

এরই মধ্যে অবশ্য আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাত থেকে সবকিছু বুঝে নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে চাচ্ছে। যদিও নিয়ম হচ্ছে কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট অন্য দেশে বেড়াতে গেলে সে দেশের হাতেই আমন্ত্রিত প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়োজিত থাকবে। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে কথা। একটু ব্যতিক্রম হতেই পারে।

chardike-ad

ওবামা যাবেন এমন রাস্তা ধরে বিস্ফোরকের গন্ধ খুঁজতে ইতোমধ্যেই আমেরিকা থেকে দিল্লি রওয়ানা হয়েছে ৪০টি প্রশিক্ষিত জার্মান শেফার্ড কুকুর। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইনডিয়া গেট পর্যন্ত নজর রাখতে আকাশে উড়বে ড্রোন বিমান। আর একাধিক আমেরিকান স্যাটেলাইট মহাকাশ থেকে নজর রাখবে দিল্লির রাজপথে।

এছাড়া জঙ্গীদের স্বল্পপাল্লার মিসাইল হামলা ঠেকাতে আমেরিকা থেকে ‘অ্যারোসাট’ নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আকাশে মিসাইল প্রতিরোধ করে।  অ্যারোস্যাট বর্তমানে হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তায় ব্যবহার হচ্ছে।

ওবামা যে হোটেলে থাকবেন সে হোটেলের সমস্ত কর্মচারীদের নাড়িনক্ষত্র জানতে চেয়েছে এফবিআই। এছাড়া ২৬ জানুয়ারি যারা কুচকাওয়াজ দেখতে আসবেন সম্ভব হলে তাদেরও অতীত ইতিহাস খুঁটিয়ে দেখতে চায় তারা। এছাড়া অনুষ্ঠানের দুই দিন আগে থেকেই রাজপথের নিয়ন্ত্রণ চাচ্ছে এফবিআই।

ওবামাকে নিয়ে আসতে এফবিআই ব্যবহার করবে দুটি এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান। এর একটিতে থাকবেন ওবামা, আরেকটি থাকবে ডামি হিসেবে শত্রুপক্ষের চোখকে ফাঁকি দেয়ার জন্য। আর আকাশে পুরো যাত্রা পথে এয়ার ফোর্সকে ওয়ানকে ঘিরে রাখবে চল্লিশটি ফাইটার জেট বিমান।

ভারতের মাটিতে ওবামার চলাচলের জন্য আমেরিকা থেকে উড়িয়ে আনা হবে ছয়টি একই রকমের কালো ক্যাডিলাক গাড়ি। ওই ছয়টির কোনটিতে যে ওবামা চড়বেন তা বুঝি খোদ ওবামা নিজেও আগে থেকে জানতে পারেন না! ক্যাডিলাক গাড়িগুলো একেকটি বড় ধরণের বিস্ফোরণের ধাক্কাসহ রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার ধকলও সহ্য করতে পারে।

আর কোনো ঝামেলায় পড়লে একবার যদি ওবামা গাড়িতে চড়ার সুযোগ পান, তাহলে গাড়িতে বসেই বাঁধিয়ে দিতে পারবেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সরাসরি হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করতে পারা ছাড়াও ওই গাড়ি থেকেই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে পরমাণু হামলা করতে পারবেন ওবামা!

সুতরাং বুঝতেই পারছেন, বিশ্বের ক্ষমতাধর এই ব্যক্তিটিকে নিরাপত্তা দিতে কী গলদঘর্ম হচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের।