Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পরিবেশবান্ধব পাঁচ শহর

vanqসিমেন্স গ্রিন সিটি ইনডেক্স অনুযায়ী শীর্ষে রয়েছে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া অঙ্গরাজ্যের শহর ভ্যানকুভার। বিশ্বের যে কোনো শহরের তুলনায় এখানে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ ও বাতাসে দূষণ অনেক কম

কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ, পরিবহন ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, নিরাপদ পানির সহজলভ্যতা— সব মিলিয়ে পরিবেশের ওপর প্রশাসনের ভূমিকা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব শহরের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সিমেন্স গ্রিন সিটি ইনডেক্স। আসুন জানি সেই শহরগুলো সম্পর্কে।

chardike-ad

ভ্যানকুভার, ব্রিটিশ কলম্বিয়া

সিমেন্স গ্রিন সিটি ইনডেক্স অনুযায়ী শীর্ষে রয়েছে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া অঙ্গরাজ্যের শহর ভ্যানকুভার। সবুজের তীর্থ স্থান হিসেবে ১৯৬০ সাল থেকেই শহরটি বিখ্যাত। বিশ্বের যে কোনো শহরের তুলনায় এখানে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ ও বাতাসে দূষণ অনেক কম। বরাবরই সবুজায়ন ও হাইড্রোপাওয়ার ব্যবহারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে শহরটি। প্রকৃতির সুরক্ষায় ছোট বড় হাজারো বাগানের দেখা মিলবে এখানে। ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে ভ্যানকুভার।

কুরিতিবা, ব্রাজিল

দক্ষিণ আমেরিকার শহরগুলোর মধ্যে কুরিতিবা এখন সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব। প্রথম দিকে যখন শহর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মেট্রো ও ৩০০ কিলোমিটার সাইকেল চলাচলের রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়, তখন অনেকেই এটাকে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বলে সমালোচনা করেছিল। অথচ এ প্রকল্পের হাত ধরে শহরটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব শহরের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।

কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক

ইউরোপের সবচেয়ে সবুজ শহর হিসেবে স্বীকৃত কোপেনহেগেন। এ শহরের শতকরা ৫০ ভাগ মানুষই সাইকেলের মাধ্যমে চলাচল করে। ফলে এ শহরের কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ অনেক কম। শহরজুড়ে ৯ কিলোমিটারের মতো রাস্তা বিশেষভাবে সাইকেল ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে, যার নাম ‘গ্রিন পাথ’।

সানফ্রান্সিসকো, ক্যালিফোর্নিয়া

উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব শহর সানফ্রান্সিসকো। এ শহরের প্রত্যেকটি মানুষ তাদের সব বর্জ্য একটি নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে, যার সুবাদে তাদের ব্যবহার্য জিনিসের প্রায় ৭৭ শতাংশ পুর্নব্যবহার সম্ভব হয়েছে।

কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা

আফ্রিকার পরিবেশ সুরক্ষায় এ অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শহর দারুণভাবে প্রভাব ফেলছে। ২০০৮ সাল থেকে শহরটি বায়ুচালিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। সেসঙ্গে ছয় বছরের মধ্যে শহরের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার অন্তত ১০ শতাংশ বর্জ্য থেকে উত্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে।