Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অল্পের জন্য রক্ষা পেল ৫ শতাধিক লঞ্চযাত্রীর প্রাণ

launch

নাশকতার আগুন থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল পাঁচ শতাধিক লঞ্চ যাত্রীর প্রাণ। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ঢাকা-চাঁদপুর রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি মিতালী-৪।

chardike-ad

চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে রাতে ছেড়ে যাওয়ার পৌনে এক ঘণ্টা পরই পরিকল্পিতভাবে লঞ্চের কেবিনে দেওয়া হয় আগুন। মাঝ নদীতে অধিকাংশ যাত্রী যখন ঘুমে তখন নাশকতার আগুনে জ্বলে উঠে লঞ্চের কেবিন। লঞ্চের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যাত্রীদের নজরে দ্রুত বিষয়টি আসলে সম্মিলিত চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ করা আগুন।

জানা যায়, বুহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি মিতালী-৪ । ৪৫ মিনিট লঞ্চটি চলার পর তৃতীয় তলা বিশিষ্ট লঞ্চটির দ্বিতীয় তলার ১১৫ নম্বর কেবিনে আগুন লাগে।

লঞ্চের সুপার ভাইজার মজনু জানান, কেবিন থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। গিয়ে দেখা যায়, কেবিনটিতে আগুন জ্বলছে। আগুনের মাত্রা বেড়ে গেলে কেবিনের গ্লাস ভেঙ্গে লঞ্চের অগ্নিনির্বাপক দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ততক্ষণে কেবিনের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

তিনি জানান, যাকে কেবিনটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে, ওই ব্যক্তি কেবিনে ছিলেন না। অগ্নিকাণ্ডের সময় কেবিনটির দরজায় বাহিরে থেকে তালা লাগানো ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, নাশকতাকারী লঞ্চের কেবিনটি ভাড়া নিয়ে কেবিন আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায় ।

এ সময় আতঙ্কে যাত্রীরা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন। কোনো দাহ্য পদার্থ দিয়ে এ আগুন দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করছেন যাত্রীরা।

ওই লঞ্চের তৃতীয় তলার একটি কেবিনের যাত্রী চাঁদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘যা দেখেছি তাতে মনে হচ্ছে নাশকতার উদ্দেশ্যেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেল হাজার যাত্রীর প্রাণ ।’

চাঁদপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনির আহমেদ জানান, খবর পেয়ে লঞ্চটি মোহনপুরে লঞ্চঘাটে থামানো হয়েছে। ওই লঞ্চে এক ঘণ্টার অধিক সময় তল্লাশি করা হয়েছে। যে ব্যক্তি ওই কেবিনটি ভাড়া নিয়েছিলেন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তার নাম কিংবা মোবাইল নম্বর রাখেনি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিতালী লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি ইউসুফ আলী ব্যাপারি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল শত শত যাত্রী ও লঞ্চ।’

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’