Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইকোনমিস্টের প্রথম নারী সম্পাদক জ্যানি মিন্টন

economist editorযুক্তরাজ্যভিত্তিক দি ইকোনমিস্ট সাময়িকীর প্রথম নারী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জ্যানি মিন্টন বেডোস। ১৭০ বছরের পুরনো সাময়িকীর শীর্ষ পদটিতে এই প্রথম কোনো নারী আসীন হলেন। তিনি দায়িত্ব নেবেন ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। খবর গার্ডিয়ান ও টাইমস।

মিন্টন ইকোনমিস্টেরই বাণিজ্য বিভাগের সম্পাদকের ভূমিকা পালন করছেন। সপ্তাহের ব্যবসা, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সম্পাদনা করতে হয় তাকে। এর আগে ছিলেন একই সাময়িকীর অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক।

chardike-ad

ইকোনমিস্টের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জ্যানির মেয়াদ শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। পর্ষদের চেয়ারম্যান রুপার্ট পেন্যান্ট নতুন সম্পাদকের প্রশংসা করে বলেন, ইকোনমিস্ট ও এর মূল্যবোধের যথার্থ প্রতিনিধি হবেন তিনি। কেননা এ প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বেডোসের।

১৯৯৪ সালে ইকোনমিস্টে যোগ দেন জ্যানি। এর আগে দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফে)। তিনি স্থলাভিষিক্ত হবেন জন মিকলথয়েটের পদে। বিদায়ী সম্পাদক এ দায়িত্ব সামলেছেন নয় বছর ধরে। সাপ্তাহিকীটির বিক্রি ১১ লাখ থেকে ১৬ লাখে উন্নীত করা তার অন্যতম সাফল্য। এখন ইকোনমিস্ট ছেড়ে ব্লুমবার্গ নিউজে যোগ দিচ্ছেন জন মিকলথয়েট।

নতুন দায়িত্ব পাওয়া জ্যানির মতে, ইকোনমিস্ট সাংবাদিকতার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান, যেখানে অসাধারণ কিছু মানুষ কাজ করেন।

আইএমএফে যোগ দেয়ার আগে তিনি পোল্যান্ডের অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি লেখালেখি করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্প্রসারণ, আইএমএফের ভবিষ্যত্ ও বিকাশমান অর্থনীতির পুনর্গঠনসহ অর্থ-বাণিজ্যের নানা বিষয়ে। টেলিভিশন ও রেডিওর আলোচনা অনুষ্ঠানের নিয়মিত অতিথি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক জ্যানি মিন্টন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন হার্ভার্ড থেকে।

ইকোনমিস্ট সূত্রে জানা যায়, সম্মানজনক পদটিতে আসীন হতে আবেদন করেন নয় প্রার্থী। এর মধ্যে দুজন ছিলেন ইকোনমিস্টের বাইরের সাংবাদিক।