Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌদি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

expat bdবাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আলোচনা করতে আজ ঢাকা আসছে সৌদি আরবের প্রতিনিধি দল। ১৭ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দলটি তিনদিনের সফরে ঢাকা আসছে। সফরকালীন বাংলাদেশী শ্রমিকদের দক্ষতা যাচাই করার পাশাপাশি মৌলিক কিছু বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেবে প্রতিনিধি দলটি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ১৭ সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী ড. আহমেদ আল ফাহাইদ। তারা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ সরকারের শ্রমসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানির বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কীভাবে জনশক্তি নেয়া যায়, তার যথাযথ প্রক্রিয়া তৈরি করা হবে। বৈঠককালীন প্রতিনিধি দল কিছু প্রস্তাব রাখবে। দুই দেশের মধ্যে কর্মী পাঠানোর বিষয় বিস্তারিত আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকেই ঘোষণা দিয়ে যাবে, কোন কোন ক্ষেত্রে কত সংখ্যক কর্মী তারা নেবে।

chardike-ad

এ প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সৌদি সরকার নির্মাণ শ্রমিক, গাড়িচালক, গৃহপরিচারিকাসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে পাঁচ-ছয় লাখ কর্মী নেবে। পর্যায়ক্রমে দেশ থেকে এসব কর্মী সৌদি যাবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। ১৯৭৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৩ জন বাংলাদেশী সৌদি আরব গেছেন। হঠাৎ করে ২০০৮ সাল থেকেই নতুন কোনো ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয় দেশটি। এতে সেখানে কর্মী প্রেরণ একেবারেই কমে যায়। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৭ সালে যেখানে ২ লাখ ৪ হাজার ১১২ জন ও ২০০৮ সালে ১ লাখ ৩২ হাজার কর্মী সৌদি আরবে যান, সেখানে ২০০৯ সালে মাত্র ১৪ হাজার ৬৬৬ জন কর্মী যান দেশটিতে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত একই পরিস্থিতি অব্যাহত ছিল।

কর্মী প্রেরণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সৌদি আরব সফর করেন। তিনি সৌদি বাদশাকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানান। এর পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন পাঁচবার সৌদি আরব সফর করেন। ২০১২ ও ২০১৩ সালে তিনি সৌদি শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সর্বশেষ বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৮ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সৌদি আরব সফর করে। ওই সফরেই সৌদির শ্রমবাজার খোলার ইঙ্গিত মিলেছিল বলে ঢাকায় ফিরে গত ২৫ জানুয়ারি সাংবাদিকদের জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মন্ত্রী আরো জানান, ওই সফরে বাংলাদেশী কর্মীদের অভিবাসন খরচ কমিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। খরচ হতে পারে ১৫-২০ হাজার টাকা। এছাড়া ভিসা, মেডিকেল ফি, কর্মীর এয়ার টিকিট— সবই নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।