Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আদমি পার্টি ৬৭, বিজেপি ৩, কংগ্রেস ০

kejriwalফলাফল দেখলে কোনো এক তরফা কলেজ নির্বাচন বলেই মনে হবে। যেখানে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারে না। কিন্তু দিল্লিতে তেমন ঘটনা ঘটেনি। তবে ফল একই। আম আদমি পার্টি ৬৭, বিজেপি ৩, কংগ্রেস ০, অন্যান্য ০।

মোদ্দা কথা, দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী আসনে বসার যোগ্যতা কোনো দলই অর্জন করতে পারেনি। আরও স্পষ্ট করে বললে, কোনো সর্বভারতীয় দলই ডাবল ডিজিটে পৌঁছতে পারেনি। না বিজেপি, না কংগ্রেস। সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপি এমন হারের সম্মুখীন হয়নি।

chardike-ad
 দিল্লির ২০১৪ সালের বিধানসভায় যেখানে ৩২ আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীরা, সেখানে এবার শুধু ৩টি আসনই দখলে রাখতে পেরেছে। আর কংগ্রেস? বলার মতো কোনো কিছুই করতে পারেনি দল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মাকেন, আপ ছেড়ে যাওয়া শাজিয়া ইলমি, বিন্নি, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা-র উপস্থিতিতেও নিট ফল শূন্য। কার্যক্ষেত্রেও শূন্যই। কারণ কোনো আসনে জয়ী হতে পারেনি কংগ্রেস।

তবে কি পরিবারতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করল জনতা? ফলেই উত্তরটা পরিষ্কার। সাধ্বী নিরঞ্জনই হোন বা স্মৃতি ইরানি, কি মোহন ভাগবত, বার বার রাজনীতির সঙ্গে ‘ধর্মালোচনা’ যে নতুন ১১ লক্ষ ভোটারের কেউই শুনতে আগ্রহী নন, সেটাও এই রায়ে স্পষ্ট। এক দিকে যেমন দলের হারের দায় নিয়ে কংগ্রেসের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অজয় মাকেন। অন্য দিকে, দিল্লির মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েও পরাজয়ের ভার নিজেই নিয়েছেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিরন বেদি। তিনি নিজেও হেরেছেন। তবে এটা জানাতেও ভোলেননি তিনি, ‘নির্বাচনে আমি হারিনি, হেরেছে বিজেপি’।– সংবাদ সংস্থা।