Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দৃষ্টিনন্দন আমের মুকুলে বাংলাদেশ

mukul
আমার মুকুল

শীত মৌসুমের বিদায় হওয়ায় রাজশাহী অঞ্চলের হাজার হাজার আম গাছে গত দুই সপ্তাহে আমের মুকুলে ভরে উঠেছে।
বিদ্যমান অনুকূল জলবায়ু পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকলে তাহলে চলতি মৌসুমে যে মুকুল ধরেছে তাতে আমের ব্যাপক ফলন হবে বলে বিশেষজ্ঞ ও কৃষি বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।
উদ্যান তত্ত্ববিদ মনজুরুল হুদা বলেন, আমের মুকুল ও কুঁড়ির জন্য জলবায়ু পরিস্থিতি অনুকূল এবং হাজার হাজার আম গাছের এই মুকুল দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ আম গাছের মুকুল বের হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ মুকুল বের হয়েছে। অবশিষ্ট আম গাছে মধ্য মার্চের মধ্যে মুকুল বের হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের (ডিএই) উপ-পরিচালক হযরত আলী বলেন, আমের ফলন নিশ্চিত করতে চাষীরা পরিচর্যা ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
আমের ভালো মান ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে ফড়িং ও কিছু কীটের আক্রমণ রোধ করতে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে চাষীদের অবশ্যই যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।
শীতের বিদায়ে বর্তমান অবস্থায় চাষী এবং মাঠ কর্মকর্তা উভয়ই এই মৌসুমী ফলের ব্যাপক ফলনের আশা করছেন।
ফল গবেষণা স্টেশনের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিম উদ্দিন জানুয়ারির শেষ দিকে আমের মুকুল ধরতে শুরু করেছে এবং মধ্য মার্চ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আম উৎপাদক নুরুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমবাগানে চলতি মৌসুমে শীতের বিদায়ের সাথে সাথেই মুকুল দেখা দেয়।
ডিএই’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই এলাকায় বিভিন্ন বয়সী প্রায় ৩৫ লাখ আমগাছ রয়েছে। আবাদের জমি হিসেবে এর পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর।
সকল স্তরের লোকদের আগ্রহের কারণে গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলে আমগাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী অঞ্চলে এই মৌসুমী ফল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
প্রতিবছর এ অঞ্চলে আমের আবাদ বাড়ছে, আ¤্রপালির মতো হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের পাশাপাশি স্থানীয় জাতের আমের উৎপাদনের মাধ্যমে বাগান মালিকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন।