Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার শিরিন গুল

shirin-gulআফগানিস্তানের সবচেয়ে নৃশংস খুনির দায় নিয়ে এক যুগ ধরে জালালাবাদের জেলের অন্ধকার ঘরে পড়ে আছেন শিরিন গুল। তার মাথায় সিরিয়াল কিলারের তকমা। প্রেমিক রহমাতুল্লাহর সঙ্গে মিলে এসব খুনের কান্ড ঘটিয়েছেন। তার পরিবেশন করা চা আর কাবাব খেয়ে মারা গেছেন এক-এক করে ২৭ জন। এই প্রেমিক রহমাতুল্লাহ খুন করেছে তার স্বামীকেও। তাতেও তিনি বাধা দেননি।

২০০৪ সালে প্রথম অপরাধ কবুল করেন শিরিন। জানান, দেহদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে তিনি পুরুষদের ডেকে আনতেন। তার পর রহমাতুল্লাহ, তার ছেলে আর তাদের কয়েকজন সঙ্গী মিলে খাবারে বিষ মিশিয়ে খুন করতেন এদের। তারপর নিহত অতিথিদের গাড়ির নম্বরপ্লেট পাল্টে পাকিস্তানের সীমান্তের তালিবান অধ্যুষিত এলাকায় বিক্রি করা হতো।

chardike-ad

জানান, তাদের কাবুল আর জালালাবাদের বাড়ি দু’টোর বাগানেই পোঁতা আছে দেহগুলো। অপরাধ প্রমাণ হওয়ার পরে শিরিন, রহমাতুল্লাহ, তার ছেলে সামিউল্লাহ-সহ ছ’জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল আফগান আদালত। শিরিন ছাড়া বাকি পাঁচ জনকেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অপরাধ স্বীকার করার জন্য তার শাস্তি কমিয়ে দেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। মৃত্যুদন্ড থেকে সাজা কমিয়ে ২০ বছরের কারাবাসে এসে দাঁড়ায়।

জালালাবাদের নানগরহার জেলের মহিলা কারাগারের বেশির ভাগ বন্দি চুরি-ছিনতাই বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে অভিযুক্ত। খুনের অপরাধীও আছে। জেলের ওয়ার্ডেন কর্নেল আব্দুল ওয়ালি হাসারক বলেন, ‘শিরিনের মতো আমি কাউকে দেখিনি।’

শিরিন আর পাঁচ জনের মতোই থাকেন এখানে। কম্বল, বিছানা সবই ভাগাভাগি করে নেন সঙ্গীদের সঙ্গে। খানিকটা বাড়তি সমীহও পান। সাত বছর আগে জেলেই গর্ভবতী হয়েছিলেন তিনি। এখন তার সঙ্গেই অন্ধকারে পড়ে আছে তার সাত বছরের মেয়ে। মেয়েকে আদর করতে করতেই বলেন, ‘আমার চরিত্র খারাপ। তবে অনেক সময় আমি ভাল ব্যবহার করি।’

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য মেহনাজ সাদাতির কথায়, ‘উনি যেন সিনেমার চরিত্র।’

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি