বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য কারাগারই নিরাপদ স্থান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নির্দেশে পেট্রোল বোমায় আজ মানুষ পুড়ে মরছে। ওনার রোষ থেকে ছোট্ট শিশু, গর্ভবতী মা, ছাত্রছাত্রী, কৃষক-শ্রমিক কেউ আর নিরাপদ নয়। উনি আগুন দিয়ে সকলকে পুড়িয়ে মারছেন। তাই উনি আজ জনবিচ্ছিন্ন, জনরোষের শিকার। তাই বের হতে ভয় পান। কারাগারই তার নিরাপদ স্থান।’
জাতীয় সংসদে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আদালত অবমাননার বিচার নিশ্চয় আদালত করবেন। আইন তার নিজের গতিতে চলবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি নিজের কাজের জন্য এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। উনি সীমা লঙ্ঘন করে চলেছেন। আর আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। উনি আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন; আদালতকেও বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাচ্ছেন। উনি আদালত মানেন না, আইনকানুন কিছুই মানেন না। এটি যদি হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ আইন-আদালত মানবে না।’
খালেদা জিয়ার আদালতে না যাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুনেছি, উনার নিরাপত্তার অভাব, তাই উনি আদালতে গেলেন না। যার নির্দেশে পেট্রোল বোমায় মানুষ মারা হচ্ছে, আর তাকেই নাকি দিতে হবে নিরাপত্তা!’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) দলের অনেকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তারা খালেদা জিয়ার এই সহিংসতা পছন্দ করছেন না। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে, তা আদালতের নির্দেশে চলবে।’
সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিএনপি-জামায়াত জোট আন্দোলনের নামে আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারছে। অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। তার এই আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই।’
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে দুষ্কৃতকারীদের ধরতে। জনগণও জেগে উঠেছে। এখন পেট্রোল বোমাসহ কাউকে দেখলে তারা নিজেরাই ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করছে।
তিনি বলেন, ‘আশা করি, দেশের অর্থনীতি সচল থাকবে। রপ্তানি, বাণিজ্য সবকিছু ধারাবাহিকভাবে চলবে। জনগণ সরকারের সঙ্গে আছে, অচিরে এসব সহিংসতা বন্ধ হবে।’



































