Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে সৌদি আরব

Soudiভারতকে টপকে অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে ওঠে এসেছে তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরব। গত বছর দেশটির অস্ত্র আমদানি ব্যয় এক লাফে ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। সাড়ে ৬ শ কোটি ডলারে অস্ত্র আমদানি করেছে সৌদি সরকার।

অন্যদিকে একই বছর ভারত আমদানি করেছে ৫৮০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র। বিশ্বের অস্ত্র বাণিজ্য সংক্রান্ত শীর্ষস্থানীয় বিশ্লেষক আইএইচএস ইনকর্পোরেটেড রোববার এ খবর দিয়েছে।

chardike-ad

অস্ত্র সংক্রান্ত এ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞ বেন মোরেস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে সৌদি আরবের নাটকীয় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এ ছাড়া, প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আগেকার অস্ত্র আমদানি সংক্রান্ত ক্রয় নির্দেশের ভিত্তিতে বলা যায়, দেশটির এ খাতে আমদানি হ্রাস করবে না।

প্রতিবেদনে বেন মোরেস বলেন, মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী রাজনৈতিক সংঘাত বাড়ছে। কাজেই এ এলাকার দেশগুলো অস্ত্র আমদানি অব্যাহত রাখবে।

প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরে সৌদি অস্ত্র আমদানি ৫২ শতাংশ বেড়ে ৯৮০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। আর এর অর্থ দাঁড়াবে বিশ্বে অস্ত্র কেনার খাতে প্রতি সাত ডলারের মধ্যে এক ডলার ব্যয় করবে সৌদি আরব। এ ছাড়া, বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় অস্ত্র আমদানিকারক দেশের মধ্যে পাঁচটিই মধ্যপ্রাচ্যে বলে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আগামী এক দশকে মধ্যপ্রাচ্যে ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্রের বাজার তৈরি হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র আমদানির সর্ববৃহৎ সুফল পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর মধ্যপ্রাচ্যে ৮৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র রফতানি করেছে ওয়াশিংটন। অথচ ২০১৩ সালে এ বিক্রির পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি ডলার।

বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ অস্ত্র রফতানি করে আমেরিকা এবং দেশটির অস্ত্র রফতানি ১৯ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে ২৩৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। রাশিয়া এক হাজার কোটি ডলার সমপরিমাণ অস্ত্র রফতানি করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স।

ইসলামিক স্টেট (আইএস)সহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোরে মধ্যে দারুণ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তথ্যসূত্র : আইআরআইবি