নিউজিল্যান্ডে একটি নামকরা ডেয়ারি প্রতিষ্ঠানের দুধে বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে দেবার এক হুমকি আসার খবরে ভীত হয়ে সেদেশের অনেক মা তাদের বাচ্চাদের জন্য পরস্পরের বুকের দুধ ভাগাভাগি করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
স্থানীয় মায়েদের ফেসবুক পাতায় এই আইডিয়াটি প্রথম প্রচার পায়।
ঘটনাটির সূত্রপাত কয়েকমাস আগে। নভেম্বর মাসে নিউজিল্যান্ডের একটি জাতীয় ফার্মিং প্রতিষ্ঠান এবং ফনটেরা নামে বিখ্যাত ডেয়ারি প্রতিষ্ঠানে একটি উড়ো চিঠি আসে। এতে হুমকি দেয়া হয় যে প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এ বছর মার্চ মাসের মধ্যে ১০৮০ নামে একটি কীটনাশক ব্যবহার করা বন্ধ না করে তাহলে তাদের ডেয়ারি পণ্যে বিষ মিশিয়ে দেয়া হবে।
যদিও কর্মকর্তারা বলছেন, এমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা কম, কিন্তু এ নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকায় পুলিশ ও মন্ত্রীরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। অনেকে বলছেন – এই হুমকি হয়তো কোন ‘ইকো-সন্ত্রাসীর’ কাজ।
যাই হোক, এর পরই নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের ৩০ জন মহিলা ঘোষণা করেন যে মায়েরা যদি বিপজ্জনক দুধের হাত থেকে বাচ্চাদের বাঁচাতে বুকের দুধ ‘শেয়ার’ করতে চান – তাতে তারা রাজি আছেন।
একটি পত্রিকা খবর দিয়েছে, কিছু মহিলা নাকি এর মধ্যেই নিজেদের বুকের দুধ জমা করে রাখতে শুরু করে দিয়েছেন।
স্থানীয় মায়েদের ফেসবুক গ্রুপ-পাতার এ্যাডমিন কেলসি ব্রোফি-ওয়াটস বলছেন, মায়েরা ভয় পাচ্ছেন যে সত্যি সত্যি যদি ফনটেরার মতো প্রতিষ্ঠানের দুথে বিষ মিশিয়ে দেয়া হলে তাদের বাচ্চাদের ক্ষতি হতে পারে।
তবে মায়েরা নিজেদের মধ্যে বুকের দুধ বিনিময় করছেন, এ ব্যাপারটা কি শুনতে আজব শোনায় না?
একজন মা বলছেন, “ব্যাপারটা হয়তো সবার পছন্দ হবে না। কিন্তু আমি তো এতে কোন সমস্যা দেখছি না।”
“বুকের দুধ তো মানুষের বাচ্চাদের খাবার জন্যই তৈরি হয়েছে” – বলছিলেন জেস ও’গারা। তার কথা হলো, বাচ্চাকে দুষিত দুধ খাওয়ানোর চাইতে অন্য কোন মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো অনেক ভালো।
নিউজিল্যান্ডের স্বসাথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলছেন, এভাবে বুকের দুধ বিনিময় করার আগে মায়েদের উচিত হবে স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে কথা বলে নেয়া।
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা