Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রক্ষিতা খুঁজছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

kim

প্রেসিডেন্টের মনোরঞ্জনের জন্য সেরা সুন্দরীদের খুঁজছে উত্তর কোরিয়া। ব্রিটিশ দৈনিক ট্রেলিগ্রাফ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

chardike-ad

উত্তর কোরিয়াদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের অভিযোগ, দেশটিতে সরকারি কর্মকর্তারা ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন। দেশটির জনগণ ন্যুনতম নাগরিক সেবাটুকু পায় না। সেই দেশেরই প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এক কন্যা সন্তানের জনক। ক্ষমতায় আসার তিন বছরের মাথায় এবার ‘নারী সেবার’ হারেম খুলে বসেছেন তিনি।

অবশ্য কিম পরিবারের জন্য হারেমের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। প্রেসিডেন্টের জন্য নারীর বিশেষ সেবার জন্য হারেমের উদ্বোধন করেন কিমের ইল সাং। বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর হারেম বন্ধ করে দিয়ে নারীদের বিদায় করে দেন কিম জং উন। বাবার মৃত্যুর পর তিন বছরের আনুষ্ঠানিক শোক পালনের বাধ্যকতা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তাই এবার নিজের আনন্দের জন্য হারেম খোলার আয়োজন শুরু করেছেন কিম জং উন।

কিমের জন্য যোগ্য নারীদের খুঁজছে ইতোমধ্যে শহর থেকে গ্রামে ছুটে বেড়াচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা। প্রেসিডেন্টের মনোরঞ্জনের যে সব নারীদের খুঁজে বের করা হয় তাদের সবার বয়স থাকে ১৪ থেকে ১৫ এর কোঠায়। সাক্ষাৎকার ও পরীক্ষার ভিত্তিতে এদের গায়িকা, নৃত্যশিল্পী কিংবা প্রেসিডেন্ট ভবনের গৃহকর্মি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। আর সবচেয়ে সুন্দরী ও আকর্ষনীয়া কিশোরীটি হয় প্রেসিডেন্টের রক্ষিতা।

টোকিওর তাসেদা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তোশিমিৎশু শিগেমুরা বলেন, ‘দেশের সেরা সুন্দরীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রক্ষিতা গ্রুপ প্রেসিডেন্টের জন্য থাকা বাধ্যতামূলক। তবে উন ক্ষমতায় আসার পর কাউকেই বিশ্বাস করতেন না। ফলে তিনি কোনো ধরনের রক্ষিতা গ্রুপও প্রথমে নিতে চাননি। আস্তে আস্তে তার সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের সরিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার পর এখন এমন একটি গ্রুপ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘কিমের বাবার মনোরঞ্জন করা মহিলারা গোপন অনেক বিষয়ে জানতেন। তাদেরকে চার হাজার ডলার এবং বাড়িঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে কোন গোপন বিষয় প্রকাশ না করতে সতর্ক করে নিজেদের গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। পুরাতন রক্ষিতাদের চলে যাওয়ার পর এখন তিনি নতুন গ্রুপ গড়ে তুলছেন।’

অধ্যাপক শিগেমুরা জানান, এসব মেয়েদেরকে গ্রামেগঞ্জে গিয়ে খুঁজে বের করা হয়। তাদের অভিভাবকদের বলা হয়, ওরা নেতার বিশেষ মিশনে কাজ করতে যাচ্ছে। কোন বাবা-মা ওই ‘মিশন’ এর আড়ালে আসলে কী হচ্ছে তা বুঝতে পারলেও কিছু বলার করার ক্ষমতা রাখেন না।

তিনি বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে এসব মেয়েদের বয়স ২০ এর কোঠায় যাওয়ার পর তাদেরকে প্রেসিডেন্টের অনুগত সৈন্যদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়।