Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রস্তুত জল্লাদ

shajahanআবারও প্রস্তুত আলোচিত সেই জল্লাদ শাজাহান। জঙ্গি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, এরশাদ শিকদার, বঙ্গবন্ধুর খুনি, কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে এই শাজাহানের হাতেই।

জামায়াতে ইসলামির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়া পর সোমবার রাতেই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে পাওয়া গেল জল্লাদ শাজাহান, রাজু ও জনির প্রস্তুত থাকার খবর।

chardike-ad

কাশিমপুর কারাগার থেকে জল্লাদ শাজাহানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে রোববার। শাজাহানের সঙ্গে জনিকেও আনা হয়েছে কাশিমপুর থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে। তাদের সঙ্গে প্রস্তুত আছেন কেন্দ্রীয় কারাগারে আগে থেকেই অবস্থান করা আরেক জল্লাদ রাজু।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরীণ একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে আজ রাতেই কামারুজ্জামানের দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হবে নিশ্চিত করে এমন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়া রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ এখনো হাতে রয়েছে এই যুদ্ধাপরাধীর।

সূত্রমতে, জল্লাদ শাজাহান হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দেশের ৬৮টি কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের জন্য রয়েছে ২০/৩০ কয়েদি, যারা জল্লাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশের জল্লাদদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত দু’জন হলেন- জল্লাদ শাজাহান ও কালু। এদের হাতেই কার্যকর হয় বহুল আলোচিত রিমা হত্যা মামলার আসামি মুনীরের ফাঁসি। ২০০৭ সালে জঙ্গি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য শাজাহানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ময়মনসিংহ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এরপর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেয়া হয়। এসময় শাহাজানকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। নির্ধারিত তারিখের দুই দিন আগেই তাকে আনা হয়েছিল।

কারা সূত্রমতে, জল্লাদদের প্রত্যেকেই খুনের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। একটি ফাঁসির কাজে অংশ নিতে পারলে তাদের দুই মাসের কারাদণ্ড মওকুফ হয়। এ সুযোগ নিতে কয়েদিরা ফাঁসির রায় কার্যকর করার কাজে অংশ নিয়ে থাকেন।