Kim-Unউত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ মার্শাল ও দেশটির নেতা কিম জং উন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন অভিযোগে দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সরকারি কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। গণহারে এভাবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরকে অনেকেই হত্যাকাণ্ড বলছে। আর এই তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হায়ুন ইয়ং চোল। কিমের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

চোলকে বিমান বিধ্বংসী কামানের গোলা ছুড়ে মেরে ফেলার খবরের পর পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনীতি বিশ্লেষকরা কিম জং উনকে স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। চোলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উনকে মান্য না করা ও উনের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে ঘুমিয়ে পড়া।

chardike-ad

এনআইএসের তথ্যানুযায়ী, কিম তার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানোয় চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার ১৫ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ২০১১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে উনের নির্দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটিতে এ ধরনের ঘটনার আসল কারণ কী তা বুঝে ওঠার চেষ্টা করছেন পশ্চিমা রাজনীতি বিশ্লেষকরা। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতনমূলক এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক দেশ উত্তর কোরিয়া। তাই এর অভ্যন্তরের পরিস্থিতি সঠিকভাবে আঁচ করা মুশকিল বলে মনে করেন তারা। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, কিম আসলে নিজেই বেকায়দায় রয়েছেন। তিনি নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন।

কিমের ক্ষমতা যে কোনো সময় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে পারে এ নিয়ে কিম খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাই যাকেই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছেন, তাকে হত্যা করছেন। তাছাড়া নিজের অবস্থান নিয়েও নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন কিম। নিজের অনুপস্থিতিতে পাল্টা অভ্যুত্থানের ভাবনাও তাকে বিচলিত করে রেখেছে। এর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বিশ্লেষকরা সম্প্রতি রাশিয়া সফর বাতিলের কথা বলেছেন।