সাগরে ভেসে থাকা অভিবাসীদের নৌকায় খাবার নিয়ে মারামারিতে শতাধিক মানুষ মারা গেছে। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি ক্যাম্পে আশ্রয় পাওয়া অবৈধ অভিবাসীদের মুখ থেকে এসব কথা জানা গেছে। খবর বিবিসি বাংলা।
আচেহ থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা জানান, খাবার নিয়ে দাঙ্গা বেধে গেলে একটি নৌকাতেই অন্তত একশো লোক মারা যায়। তারা বলেন, এদের কাউকে কাউকে ছুরি মেরে মারা হয়, কাউকে গলায় রশি পেঁচিয়ে মারা হয়। আবার কাউকে কাউকে নৌকা থেকে সাগরে ছুঁড়ে ফেলা হয়।
বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে যেসব অবৈধ অভিবাসী ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন, তারা যাত্রাপথে করুণ, রোমহর্ষক সব ঘটনার বর্ণনা দেন। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী মোহাম্মদ রফিক। তিনি বলছিলেন, অন্তত ১০৪ জন লোক এভাবে মারা গেছেন।
মোহাম্মদ রফিক বলেন, নৌকার ওপর আমাদের মারধর করা হয়েছে। মারধর সহ্য করতে না পেরে আমরা পানিতে ঝাপ দেই। এর মধ্যে যারা সাতার জানতো তারা ভেসে ছিল। যারা জানতো না তারা পানিতে ডুবে মরে গেছে। ১০৪ জনের মতো মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, ছোট ছোট ছেলে মেয়ে তাদের আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। এই ঘটনাটা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। এর পর ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত আমরা পানিতে ভেসে ছিলাম। তার পর ইন্দোনেশিয়ার নেভি এবং জেলে যারা অনেক দূরে মাছ ধরতে যায়, তারা আমাদের তুলে নেয়।
অভিবাসীদের অনেকে বলেছেন যে, কয়েকজনকে ছুরি মারা হয়েছে এবং কয়েকজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। যদিও এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা কঠিন। তবে অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম একই ঘটনার কথা যেভাবে রিপোর্টে করেছে- তার বর্ণনার সাথে এর মিল রয়েছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের হাজার হাজার লোক থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার কাছাকাছি সমুদ্রে অনেক নৌকায় এখনো ভাসছে।