Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মিশরে সিসি সেনাদের যৌন নির্যাতনের কাহিনী

harasmentমিসরীয় নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছেই। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে তা ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিদিনই বন্দীদের ওপর চালানো হয় এ নির্যাতন। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ)। সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী ১৭৮টি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করছে।

নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, বস্তুর দ্বারা ধর্ষণ, যৌনাঙ্গে ইলেকট্রিক শক, যৌনতার দ্বারা মানহানি ও ব্ল্যাকমেল করা ইত্যাদি।

chardike-ad

মিসরীয় হিউম্যান রাইটস এনজিও’র এক কর্মী বলেন, ‘আলেকজান্দ্রিয়া ক্রিমিনাল ইনটেলিজেন্স প্রধানের নেতৃত্বে এক অভিযানে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। আমাদেরকে মাথার পেছনে হাত রেখে নিল ডাউন দেয়ানো হয়।’

‘এরপর তারা যুবতী মেয়েদেরকে একপাশে নিয়ে যায় এবং স্পর্শকাতর স্থাগুলোতে হাত দিয়ে চেক করে। এ সময় আমাদেরকে যৌন হেনস্থা ও অপদস্থ করে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সেনাদের একজনের হাত আমার পাজামা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাকে অস্ত্র দিয়ে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি প্রতিরোধের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি।’

কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, ‘দুই সেনা আমাকে যৌন নির্যাতন শুরু করলে তৃতীয় একজন তাদেরকে থামতে বলে। তখন তারা ওই সেনাকে চুপ থাকতে বলে। এরপর একজন আমাকে ভ্যানের মধ্যে বলে, কাছে আস। এখন তোমাকে দেখাতে যাচ্ছি যে, আমি একজন পুরুষ। তার কথায় অন্যরা হাসলো। এরপর সে আমাকে চূড়ান্তভাবে ধর্ষণ করলো।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কুমারিত্ব পরীক্ষা’ এখন নারী বন্দীদের ওপর সাধারণ নির্যাতনে পরিণত হয়েছে। অন্য দুই ছেলে শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, আন্দোলনের কারণে আটকের পর তাদের পায়ুপথে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয় এক সেনা সদস্য। তখন অন্যদের পুরুষাাঙ্গে ইলেকট্রিক শক দেয়া হচ্ছিল।