Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের মানচিত্র

mapঅবশেষে বহু প্রতীক্ষার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে যাচ্ছে দুই বাংলার ১৬২টি ছিটমহলের বাসিন্দারা। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয়েছে ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তি। আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতিসূচক নথি হস্তান্তর করেন দু-দেশের পররাষ্ট্র সচিব। এ ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হিসেব উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

স্থলসীমান্ত চুক্তির ফলে বাংলাদেশের সীমানায় ভারতের ১১১টি ছিটমহল ও ভারতের সীমানায় বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা পছন্দ মতো তাদের নাগরিকত্ব বেছে নিতে পারবেন। তবে, ভারতকে চুক্তির কারণে হারাতে হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার একর জমি।

chardike-ad

সম্মতিসূচক নথি হস্তান্তরের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, `এই মাহেন্দ্রক্ষণটিকে শুধু ঐতিহাসিক বললেও কম বলা হয়।` গত মে মাসেই লোকসভায় সীমান্ত বিল পাস হয়। তাতে স্বাক্ষর করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। এরপরই বাংলাদেশ সফরের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি।

উত্তরাধিকার সূত্রেই ভারতের স্থলসীমান্ত নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ সমস্যার অবসানে ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়। কিন্তু, জমি ছাড়তে হলে ভারতের সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। সে কারণেই এতোদিন আটকে ছিল ছিটমহল বিনিময়। এর মধ্যে ২০১১ সালে ভারতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে স্থলসীমান্ত সমস্যার সমাধানে দুই দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল সই হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে তার পর আর কিছু এগোয়নি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল রয়েছে। বাসিন্দা রয়েছেন ৩৭ হাজার। অন্য দিকে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের ১৪ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন সাত হাজার ১১০ একর, অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহলের আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ একর। ঐতিহাসিক এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশের সাত হাজার ১১০ একর জমির ৫১টি ছিটমহল ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে।

উল্টো দিকে, ভারতের ১৭ হাজার ১৬০ একর জমিতে থাকা ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের আওতায় আসবে। ছিটমহল বিনিময়ে ভারত যে প্রায় ১০ হাজার একর জমি বেশি হারাবে, তার জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাবে না। ছিটমহলবাসীরা তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী নাগরিকত্ব বেছে নিতে পারবেন।

সূত্রঃ জাগোনিউজ