Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দ. কোরিয়ায় মার্সরোধে প্লাজমা থেরাপি শুরু

plazma-therapyপ্রাণঘাতী মার্স ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এবার প্লাজমা থেরাপি শুরু করল দক্ষিণ কোরিয়া। বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

খবরে বলা হয়, পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস ইবোলায় প্লাজমা থেরাপির বেশ সফল হয়েছিল। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই মার্স প্রতিরোধে প্লাজমা থেরাপি শুরু করল দক্ষিণ কোরিয়া।

chardike-ad

একই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সফলভাবে সেরে উঠেছেন এমন কারও রক্ত ব্যবহার করে এই থেরাপি দেওয়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রথম দফায় দুটো হাসপাতাল প্লাজমা থেরাপি শুরু করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে ৬৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মাধ্যমে যিনি মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ করেছিলেন।

মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের ভূগোলে এটাই মার্সের সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাবের চিত্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব আরও বাড়তে পারে।

এক নজরে মার্স ভাইরাস

## সৌদি আরবে ২০১২ সালে এই ভাইরাসটি প্রথম চিহ্নিত হয়।

## এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর হতে পারে। এ ছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা এবং নিউমোনিয়া ও কিডনি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

## ভাইরাসটির নাম এসেছে উৎপত্তিভূমি ও সৃষ্ট সমস্যার নামে। মার্সের (এমইআরএস) পুরো নাম মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম।

## ইউরোপীয় রোগ নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বলছে, বিশ্বব্যাপী অন্তত এক হাজার ১৬৭ জন মানুষের মার্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৪৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

## বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, মার্স ভাইরাসে মৃত্যুঝুঁকি শতকরা ২৭ ভাগ।