
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে টাইফুন চ্যান হোমের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে রোববার দেশটির বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝড়ের কারণে সিউলের সঙ্গে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় নগরী ইয়েওসু এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুর ৬০টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে এর কোন প্রভাব পড়েনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে শক্তিশালী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় (গ্রিনিচ মান সময় ০২০০) ওই এলাকাগুলোতে ১৯৭ মিলিমিটার (৭.৭ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে।
খবর এএফপি’র।
আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টাইফুনটি সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়ার ওয়াংহাই প্রদেশে পৌঁছলে শক্তি হ্রাস পেয়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হবে।।
টাইফুন চ্যান হোম শনিবার চীনে আঘাত হেনেছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে এবং কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ ১০ লাখের বেশি লোককে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহে ঝড়টির আঘাতে ফিলিপাইনে ৫ জনের প্রাণহানি ও শুক্রবার জাপানে ২০ জন আহত হয়েছে। তাইওয়ানেও ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার সেখানে শেয়ার বাজার, স্কুল ও অফিস বন্ধ করা হয়। তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জ ও তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।