ঘরের খাবার থেকে মুখের স্বাদ বদলাতে মাঝে মাঝেই বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যান অনেকেই। নামীদামী রেস্টুরেন্টে মনের মতো অর্ডার করে খেয়ে মোটা অংকের টাকা টিপস দিয়ে আসা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু আপনার কি জানা আছে খুব ভালো নামীদামী এই রেস্টুরেন্টটি আপনার সাথে ধোঁকাবাজি করে চলেছে তাদের নানা ধরণের সার্ভিসের মাধ্যমে? না জানলে চলুন জেনে নেয়া যাক।
১) রেস্টুরেন্টের মেনু সাজানো হয় খুবই কৌশল খাটিয়ে। শুরুতেই তারা খুব দামী খাবারের লিস্ট দিয়ে থাকে এবং পরে অন্যান্য খাবার, এতে করে পরের খাবারগুলো অর্ডার করার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলা হয় আপনার মনে। যেমন ধরুন, যদি মেনুর প্রথমেই লেখা থাকে লবস্টার ৮০০ টাকা এবং এরপর সী ফুড ৪৫০-৫০০ টাকা, তাহলে আপনি সী ফুডের পেছনে টাকা ব্যয় করতে একেবারেই পেছপা হবেন না।
২) রেস্টুরেন্টে আনলিমিটেড বাফেট খাওয়ানো আরেকটি ধোঁকাবাজির অভিনব উপায়। আপনি বেশ চড়া মূল্যেই বাফেট খেতে যাবেন অনেক বেশী আইটেম দেখে, কিন্তু আপনি খেয়ে আপনার ব্যয়কৃত অর্থের ৬০% ও উসুল করতে পারবেন না।
৩) রেস্টুরেন্টের প্লেটগুলো দেখেছেন? বিশেষ করে খুব দামী কোনো রেস্টুরেন্টের? তারা সাজানোর কাজেই বিশাল প্লেট ব্যবহার করে, কিন্তু এতো অল্প পরিমাণে খাবার দেয়া থাকে যা একজনের উদরপূর্তি করার প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু পস লেবেল লাগানো এই সকল নামিদামি রেস্টুরেন্ট এভাবেই চালিয়ে যেতে থাকে তাদের সার্ভিস।
৪) রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে আজকের স্পেশাল খাবার নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন ওয়েটারের মুখে। এটি আর কিছুই নয় আপনার মনোযোগ আকর্ষণের একটি ট্রিক্স মাত্র।
৫) ওয়েটারের কাছে পানি চাইলে প্রথমেই আপনাকে শুনতে হবে, ‘স্যার, রেগুলার নাকি বোতল?’। দামী রেস্টুরেন্টে গিয়ে আপনি নিশ্চয়ই রেগুলার পানি পান করবেন না, বেশী দাম দিয়ে বোতলই কিনতে হবে আপনাকে, এটিও একটি ট্রিক্স বলতে পারেন।
৬) খাবারের নাম আকর্ষণীয় করা তাদের আরেকটি বিজনেস পলিসি। নামের কারণেই অনেক সময় খাবার জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়, কিন্তু দেখা যায় খাবারটি খেতে একেবারেই সুস্বাদু নয়।
সূত্র দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া
এরকম আরো কিছু নিউজঃ
## যে কারণে তিব্বতকে নিষিদ্ধ দেশ বলা হয়
## তবলীগ জামাতে তামিম ও অনন্ত জলিল!
## বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাঁচ বিয়ে!
## রোজা রেখে ক্রিকেট খেলেন যে ৫ ক্রিকেটার
## দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়!