Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দঃ কোরিয়ায় রপ্তানী বৃদ্ধির আশাবাদঃ ৯৫ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে দ. কোরিয়া

কোরিয়ায় রপ্তানী বৃদ্ধির আশাবাদঃ ৯৫ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে দ. কোরিয়া

chardike-ad
ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশের শুল্কমুক্ত রপ্তানী সুবিধা আরো ৫শতাংশ বৃদ্ধি করে ৯৫শতাংশে উন্নীত করেছে দঃ কোরিয়া। এর ফলে দঃ কোরিয়া বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের জন্য আরো উন্মুক্ত হলো বলে মনে করছেন ব্যবসাযীরা। ঢাকায় অবস্থিত কোরিয়ান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৯৫ শতাংশ পণ্যের জন্য কোরিয়া শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা উন্মুক্ত করেছে। গত ১৫ মার্চ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (ডাবি্লউটিও) শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্যের তালিকা অনুমোদন করেছে। এ সুবিধা ২০১২ সাল থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। গত বছর পর্যন্ত দেশটি এলডিসির ৯০ শতাংশ পণ্যকে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা বহাল রেখেছিল।
কোরিয়ান দূতাবাস আশা করছে, এর ফলে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়বে। একই সঙ্গে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে। ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৭৫.৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ দুই হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করেছে। আমদানি করা পণ্যের মধ্যে স্টিল, লোহা, সুতা, কাপড়, যন্ত্রপাতি ও মেশিনারি প্রধান। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে কোরিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার। কোরিয়ায় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাক, চিংড়ি ও হিমায়িত মৎস্য ও শাকসবজি।
শুল্কমুক্ত রপ্তানীর সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতি কতটুকু কমাতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।