বর্তমান সময়ে নারীদের পোশাকের একটি অন্যতম অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে হেডস্কার্ফ। তবে কেউ ফ্যাশন করে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আবার কেউ তাঁর ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এটা ব্যাবহার করেন। তেমনিভাবে আফ্রিকার নারীদের পোশাকের একটি অন্যতম অংশ হচ্ছে হেডস্কার্ফ। বেশ কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আফ্রিকান নারীরা তাদের মাথায় স্কার্ফ পরে থাকেন । তো চলুন কারনগুলো দেখে নেয়া যাকঃ
অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা
বুর্কিনা ফাসোর মেয়েরা বিশ্বাস করেন হেডস্কার্ফ তাঁদের অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করবে। এই বিশ্বাসটা সম্পূর্ণ তাদের নিজের।
দিন-রাত সবসময়
কেনিয়ার ২১ বছর বয়সি সাংবাদিক উইনি কেরুবো বলেন, তিনি স্কার্ফ পছন্দ করেন। তাই দিনে, রাতে, এমনকি শোবার সময়ও তিনি মাথায় কাপড় পরেন। কখনও মাথায় হেডস্কার্ফ না থাকলে কেমন যেন অস্বস্তি বোধ হয় বলে জানান কেরুবো।
মুসলিম পরিচিতি
ঘানার ২৩ বছরের আদিসা সাকি নিজের মুসলমান পরিচিতিকে তুলে ধরতে হেডস্কার্ফ ব্যবহার করেন। বাইরে যাওয়ার সময় তিনি সাধারণত এটি পরে থাকেন। মায়ের কাছ থেকে তিনি সহজে এবং তাড়াতাড়ি হেডস্কার্ফ পরা শিখেছেন।
আফ্রিকার ঐতিহ্য
আইসাতা কেন বলেন, শুধু আফ্রিকান নয় পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গেও হেডস্কার্ফ দারুণভাবে মানিয়ে যায়। তিনি নিজে একজন মুসলমান হলেও বলেন, ‘শুধু মুসলিম নারী নয়, মাথায় স্কার্ফ পরা আফ্রিকার একটি ঐতিহ্য।’
ফ্যাশনের অংশ
নাইজেরিয়ায় হেডস্কার্ফ পরার অনেক স্টাইল ও উপায় রয়েছে। ৫০ বছরের মাইরো বুবা বলেন, তিনি নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য মাথায় স্কার্ফ পরেন। আর ২১ বছরের শাওবুর মন্তব্য, কেউ পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মাথায় স্কার্ফ না পরলে তাকে সুন্দর লাগে না।
‘ফিলিং লাইক অ্যা লেডি’
মাথায় স্কার্ফ পরার কারণ হিসেবে এই কথাটাই বললেন ঘানার ২৭ বছর বয়সি সাংবাদিক জুনিতা সালাহ।
বিবাহিত পরিচয়
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ৬৫ বছর বয়সি বঙ্গি খুমালো বললেন, মাথায় স্কার্ফ পরার মাধ্যমে তিনি যে জুলু সম্প্রদায়ের একজন বিবাহিত নারী তার প্রমাণ দেন।
বিয়ের পোশাক
ঘানার আকান সংস্কৃতিতে বিয়ে করতে কিংবা সন্তান জন্ম দিতে ইচ্ছুক নারীদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় হেডস্কার্ফ।