lee-hee-hoদক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি লী হী-হো উত্তর কোরিয়ায় চার দিনের বিরল সফর শেষে শনিবার দেশে ফিরেছেন। তবে তার সঙ্গে উ. কোরীয় নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি।

দ. কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে-জুংয়ের স্ত্রীর সঙ্গে উ. কোরীয় নেতার সম্ভাব্য বৈঠকের ব্যাপারে জোর জল্পনাকল্পনা ছিল। কারণ কিম ব্যক্তিগতভাবে লী’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

chardike-ad

লী’র সহকারি জানান, সফরকালে উ. কোরীয় নেতার সঙ্গে দেখা করার কোন সুযোগ ছিল না।

লী’র স্বামী দুই কোরিয়ার সংযুক্তির একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নীতির জন্য স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।

এ নীতির আলোকে ২০০০ সালে কিম দায়ে-জুং ও কিম জং-উনের প্রয়াত পিতা কিম জং ইলের মধ্যে এক ঐতিহাসিক সম্মেলন হয়।

২০০৮ সালে দ. কোরিয়ায় রক্ষণশীল প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর ওই নীতি বাতিল হয়ে যায় এবং আন্তঃসীমান্ত সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

লী বলেন, উত্তর কোরিয়ায় এটা ছিল তার ব্যক্তিগত সফর এবং তার কোন সরকারি অ্যাসাইনমেন্ট ছিল না।

ঐতিহাসিক সম্মেলনের শেষে স্বাক্ষরিত আন্তঃকোরীয় শান্তি ও সমঝোতা চুক্তি উদ্ধৃতি করে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৫ জুনের ঘোষণার আলোকে তিনি এ সফর করেছেন। তিনি ।

পিয়ংইয়ং পৌঁছে লী শিশু ও তরুণী মায়েদের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
সিউলে ফিরে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, কোরিয়ার সকল মানুষ ১৫ জুনের ঘোষণা অনুযায়ী সমঝোতা, সহযোগিতা ও ভালবাসার মাধ্যমে পুনরেত্রিকরণ ও বিভক্তি কাটিয়ে উঠতে মনোনিবেশ করবেন।’