আমেরিকায় স্পেশাল অলিম্পিকে অংশ নিতে গিয়ে পালিয়ে গেছেন বাংলাদেশের এক ফুটবলার। ২৫ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে বসেছিল এবারের স্পেশাল অলিম্পিক ক্রীড়ার আসর। সেখানে বাংলাদেশি ফুটবলার জয়নাল আবেদিন প্রথম দিনেই গেমস ভিলেজ থেকে পালিয়ে যান।
বিকেএসপির সাবেক ছাত্র জয়নাল আবেদিন বাসাবো তরুণ সংঘের হয়ে প্রথম বিভাগে ফুটবল খেলেছেন। বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক ফুটবল দলের নিয়মিত সাত ফুটবলারের একজন ছিলেন তিনি। চারজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর সঙ্গে সাতজন নিয়মিত ফুটবলার নিয়ে দল গঠন করা হয়। বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক ফুটবল দলের কোচ আবদুর রাজ্জাক জানান, নিয়মিত ফুটবলারদের কোঠায় সাধারণত তারা বিকেএসপি থেকে বের হওয়া ফুটবলারদের মনোনীত করেন। যাদের প্রতিভা আছে; কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে খেলার মতো সামর্থ্য নেই, তাদেরই তারা দলে নেন। আর ১৯ বছর বয়সী জয়নাল এবারই প্রথম নন, তরুণ এ ডিফেন্ডার বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী দলের নিয়মিত মুখ। থাইল্যান্ডে যোগ্যতা নির্ধারিত টুর্নামেন্টেও খেলেছিলেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশ দল রানার্সআপ হয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলার টিকিট পাওয়ার পেছনে তারও ভালো অবদান ছিল। ২০১৪ সালে সিডনিতে এশিয়া প্যাসিফিক গেমসেও অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশ স্বর্ণও জিতেছিল। কিন্তু এবার দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে কলঙ্কিত করলেন তিনি।
স্পেশাল অলিম্পিকে ৫৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলের নেতা ফারুকুল ইসলাম জানান, ২৫ আগস্ট গেমস ভিলেজ থেকে জয়নাল বেরিয়ে যান। আর ফিরে আসেননি তিনি। ফারুকুল বলেন, ‘পরের দিন সকালে আমরা আর তাকে খুঁজে পাইনি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিষয়টি গেমস কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করি। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। স্পেশাল অলিম্পিক দলের হয়ে বিদেশে গিয়ে এই প্রথম কোনো ক্রীড়াবিদ পালিয়ে গেল।’ বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিক দলের কোচ পরিতোষ মণ্ডল জানান, পাসপোর্ট এবং কাপড়চোপড় ছাড়াই ভিলেজ থেকে পালিয়ে যান জয়নাল। তার মতো একজন তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার এমন কাজ করতে পারে বলে তাদের ধারণাও ছিল না। সমকাল।