Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

Badolচট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানা যুবলীগের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বায়েজিদ থানার তারা গেটে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী হাসান বাদলকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। বাদল একাধিক মামলার আসামি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

chardike-ad

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নগরীর বায়েজিদ থানার তারা গেট নামক এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাদলের গ্রুপের সঙ্গে একই দলের অপর গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছিল। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে বাদল গুরুতর আহত হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাদলকে কারা হত্যা করেছে- এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানায়, বাদলের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। গত ঈদের আগে বাদল কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে বাদল খুন হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাদল চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমর্থক যুবলীগ নেতা বলে এলাকায় পরিচয় দিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতেন।

বাদলের নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিএমপির অতিরিক্ত দুই কমিশনার কে এম শহীদুর রহমান ও দেবদাস ভট্টাচার্য হাসপাতালে যান।

পুলিশ কর্মকর্তা দেবদাস এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে পেছন থেকে গুলি করেছে।

বাদল ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।