Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নেইমারের ৩৭০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

Neymarকর ফাঁকির ঝামেলা যেন নেইমারকে জেঁকে ধরেছে। সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন। তাকে দলে ভেড়াতে বার্সেলোনা কর ফাঁকি দিয়েছে। সেই মামলায় বেশ ঝক্কি-ঝামেলা পোহাচ্ছেন। এবার তার সঙ্গে গোদের উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দেখা দিল নিজ দেশের মামলা। ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নেইমার নাকি ১৫.৯৫ মিলিয়ন ডলার (১২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা) কর ফাঁকি দিয়েছেন। আর এই কর ফাঁকির মামলায় তার ৪৭.৬ মিলিয়ন ডলারের (৩৭০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন আদালত।

এদিকে নেইমারের বাবা-মা দাবি করেছেন তাদের ছেলে কোনো অন্যায় করেনি। সে নিয়মিত কর দিয়েছে। কখনো কর ফাঁকি দেয়নি। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এবং ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাকে হয়রানি করানো হচ্ছে। যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেখানে নেইমার ছাড়াও আরো তিনজন অংশীদার রয়েছে।

chardike-ad

নেইমারের এই স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হলেও অন্যান্য স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, গাড়ী, হেলিকপ্টার এবং তরল অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।

নেইমারের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার চেয়ে তিনগুণ বেশি মূল্যের সম্পত্তি আদালত বাজেয়াপ্ত করেছে। মূলত নিরাপত্তার ইস্যুতেই এটা করা হয়েছে। যাতে এই মামলায় জরিমানা নেইমার না দিতে চাইলে আদায় করা যায়। তবে যতদিন না এই মামলার নিষ্পত্তি হয় ততোদিন নেইমার এই সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন না। এমন কী বিক্রিও করতে পারবেন না।

বিচারক কার্লোস মাতা ২৩ বছর বয়সী নেইমারের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে অপ্রদর্শিত আয়ের কর ফাঁকির বিষয়ে মামলা করেছেন। যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই সম্পত্তিতে নেইমার ছাড়াও আরো তিনজন অংশীদার রয়েছেন। তবে নেইমার ও তার বাবা-মা এটার মূল দায়িত্বে রয়েছেন।

নেইমারের বাবা-মায়ের দাবি ভুল বোঝাবুঝির কারণেই তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, ‘নেইমার কখনো কর ফাঁকি দেয়নি। এমনকি আমাদের কোনো কোম্পানিও কর ফাঁকি দেয়নি। আমরা আমাদের দায়িত্ব ঠিকমতোই পালন করেছি। আশা করছি সময়ের পরিক্রমায় সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’