Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিনাবিচারে ২২ বছর কারাবাস

fojli-miaবিনাবিচারে ২২ বছর কারাবাসের পর মুক্তি পেয়েছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ফজলু মিয়া। জামিন হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেল সুপার মো. ছগীর মিয়া।

তিনি বলেন, বুধবার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম জহুরুল হক চৌধুরীর আদালত ফজলু মিয়াকে তার এক সহপাঠীর জিম্মায় জামিন দেয়। “সকালে জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।”

chardike-ad

ফজলুর আইনজীবী জ্যোৎস্না ইসলাম জানান, ১৯৯৩ সালের ১১ জুলাই সিলেট মহানগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ অবস্থায় ফজলু মিয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে ‘মানসিক স্বাস্থ্য আইনের ১৩ ধারায়’ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এরপর তাকে একাধিকবার জামিন দেয় আদালত। কিন্তু তার কোনো নিকটাত্মীয়ের খোঁজ না পাওয়ায় তিনি মুক্ত হতে পারেননি। গত ২২ বছরে ফজলুকে ১৯৮ বার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট জ্যোৎস্না।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ফজলু মিয়ার এক সহপাঠী দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কামাল উদ্দিন রাসেল বিষয়টি জানতে পেরে তাকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেন।

অ্যাডভোকেট জ্যোৎস্না ছাড়াও ফজলু মিয়ার জামিনের বিষয়ে সহযোগিতা করে বেসরকারি সংস্থা ব্লাস্ট। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সৈয়দ শামিম আহমদ।

জ্যোৎস্না ইসলাম বলেন, “আদালতে ফজলু মিয়াকে আসামি নয়, বরং একজন ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করেছি। বিচারক বিষয়টি অনুধাবন করে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।”

ফজলুর সহপাঠী কামাল উদ্দিন রাসেল বলেন, “ফজলু মিয়া আমার সহপাঠী ছিলেন। তাকে অনেক বছর খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। তিন বছর আগে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন। এরপর খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে দেই।

“কিন্তু কয়েকদিন আগে জানতে পারি, তিনি কারাবন্দি রয়েছেন। এরপর খোঁজখবর নিয়ে তার জামিনের ব্যবস্থা করি।”

দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর সৈয়দ বাড়ির নিঃসন্তান দম্পতি গোলাম মাওলা ও নয়ন মণি ফজলুকে লালন-পালন করেছেন বলে জানান কামাল উদ্দিন। (বিডিনিউজ)