সমাজতান্ত্রিক দেশ চীন সম্প্রতি ধনকুবেরের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। চীনে এখন কোটিপতির সংখ্যা ৫৯৬। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা ৫৩৭। গত এক বছরে চীনে ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে সর্বাধিক অবদান রেখেছে প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতের উন্নয়ন। দেশটির সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধীরগতির হলেও এ খাতে ধনীর সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হুরুন কর্তৃক প্রকাশিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এছাড়া যদি হংকং ও ম্যাকাওর ১১৯ জন অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে এ সংখ্যা ৭১৭-এ উন্নীত হবে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে চীনের প্রবৃদ্ধি চলতি বছরে ৭ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ অবনমনের কথা বলা হলেও ২০১৪-১৫ সালে কোটিপতির সংখ্যা ৩২ শতাংশ অর্থাৎ ২৪২ জন বেড়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা যায়, ১ হাজার ৮৭৭ জন শীর্ষ ধনীর মোট সম্পদের মূল্য ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার। পৃথিবীর অনেক দেশের জিডিপির তুলনায় এ পরিমাণ বেশি। জরিপে দেখা গেছে, শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবার কর্ণধার জ্যাক মা তার শীর্ষস্থান হারিয়েছেন। অন্যদিকে আবাসন ব্যবসায়ী ওয়াং জিয়াংলিন তার হারানো স্থানটি পুনরুদ্ধার করেছেন। ওয়াংয়ের বর্তমান সম্পত্তির মূল্য ৩৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের চেয়ে ৫২ শতাংশ বেশি। ওয়াং ও জ্যাক মার পরের স্থানে আছেন যথাক্রমে কোমলপানীয় প্রস্তুতকারী ওয়াহাহার কর্ণধার জেং কুইংহো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাট পরিচালনাকারী টেনসেন্ট লিমিটেডের মা হুয়াতেং এবং স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির জুন লেই।
তালিকায় নতুনদের মধ্যে রয়েছেন ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি নিয়ে ডিজেআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্র্যাংক ওয়াং ও ১ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি নিয়ে ট্যাক্সি সেবাদানকারী দিদি-কুয়াইদির মালিক চেং উই।
প্রতিবেদনে চীনের ঐতিহ্যবাহী ইস্পাত ও প্রাকৃতিক সম্পদ শিল্পের দীনতা ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে অনলাইন বিপণন, বিনোদন ও অন্যান্য সেবা খাতে প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটির সমাজতান্ত্রিক নেতারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছে ভারী শিল্পে বিনিয়োগের পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ পণ্য ও সেবা খাতের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।