Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড থেকে বেঁচে গেল এক নারী

maldipমালদ্বীপের সর্বোচ্চ আদালত বিবাহ বহির্ভূত যৌন সঙ্গমের দায়ে অভিযুক্ত এক নারীকে পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশকে স্থগিত করেছে। দেশটির গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে, রোববার মালদ্বীপের একটি নিম্ন আদালত অবৈধ যৌন মেলামেশার দরুন সন্তান জন্ম দেয়ার অভিযোগে পাথর নিক্ষেপে ওই নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছিল।

রোববার ওই আদেশের পর দেশটির উচ্চ আদালত ওই নারীর পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তবে ওই নারীকে তার বিরুদ্ধের আনিত অভিযোগ থেকে আব্যহতি দেয়নি আদালত। বরং তাকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থেকে আইনী পদ্ধতি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

chardike-ad

এশিয়ার অন্যতম এই মুসলীম সংখ্যাগরিষ্ট দ্বীপ রাষ্ট্রে পূর্বে বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের দায়ে ওই পাশবিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা ছিল। রোববার নিম্ন আদালতে যে রায় প্রদান করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে দেশটির গণমাধ্যমসহ সর্বস্তরেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। মানবাধিকার লংঘনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশটির বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। এই ধারাবাহিকতায় মালদ্বীপের সর্বোচ্চ আদালত তা প্রত্যাহার করে নেয়।

চার্লস হ্যাভিল্যান্ড নামের বিবিসির এক এশীয় অঞ্চল বিষয়ক সাংবাদিক জানান, মালদ্বীপে এর আগে অবৈধ যৌন সম্পর্কের দায়ে অভিযুক্তদের পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নজীর রয়েছে।

গত ২০১৩ সালে মালদ্বীপে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অবৈধ যৌন সঙ্গমের দায়ে ১০০ টি দোররা মারার আদেশ দিয়েছিল। এর পরপরই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পরে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যাপক জনপ্রতিরোধ গঠিত হয়। ফলে উচ্চ আদালত এই কিশোরীকে দেওয়া রায়কে দুঃখজনকভাবে ভূল বিচার আখ্যা দিয়ে তা স্থগিত করে দেয়।

উল্লেখ্য সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রিয় একটি পর্যটন দেশ হিসেবে পরিচিত এই দেশে বিবাহ বহির্ভূত যৌন সঙ্গম আইন বিরোধি। অবশ্য তা পর্যটকদের জন্য প্রযোজ্য নয় যেখানে মালদ্বীপের মোট রাষ্ট্রীয় আয়ের একটা উল্লেখ্যযোগ্য অংশই আসে এই পর্যটন খাত থেকে।