নিজস্ব প্রতিবেদক, ২ জুন, ২০১৩:
আজকের আনসান হোয়ারাং পার্ক দেখে যে কেউ ভাবতে পারেন এইটা ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবর বা বাংলাদেশের একটি এলাকা। হাজার হাজার বাংলাদেশীদের পদচারণায় উৎসবমুখর এই মেলা দেখলে এমন ধারণা হওয়া অযৌক্তিক নয়। প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশীরা সকাল থেকেই পার্কে আসা শুরু করে। দেশী মানুষদের সাথে দেখা হবে, কুশলাদি বিনিময় হবে এইটাই বড় পাওয়া। এমন কথাই ঘুরে ফিরে আসল মেলায় আসা বাংলাদেশীদের মুখে মুখে।
সকাল থেকে মেলা শুরু হলেও প্রচন্ড গরমের কারণে অনুষ্টান শুরু করতে একটু দেরী হয়। দুপুর দুইটার পর অনুষ্টান শুরু হয়। প্রথম পর্বে কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী শিল্পীরা দর্শকদেরকে মাতিয়ে রাখে।
বিকাল চারটায় শুরু হয় “রাখে আল্লাহ মারে কে” গানের মধ্য দিয়ে আইয়ুব বাচ্চুর গানের পর্ব। আইয়ুব বাচ্চুর গিটারের সুরে হাজারো দর্শক বিদেশের মাটিতে দেশের গানের আমেজ পাওয়ার চেষ্টা করে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে লটারী পর্ব শেষ হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ মেলা শেষ হয়।
মেলায় পাওয়া না পাওয়া
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রবাসীদের সবচেয়ে বেশি আনন্দের বিষয় ছিল একসাথে এত বাংলাদেশীদের দেখা পাওয়া। কোরিয়ায় ব্যস্ততার কারণে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা করা কঠিন। আজ মেলার সৌজন্যে অনেক বন্ধুর সাথে দেখা হল। জানালেন মেলায় খুয়াংজু থেকে আসা জামাল। পাওয়া না পাওয়া নিয়েও জানালেন অনেকেই প্রতিক্রিয়া। হানিয়াং ইউনিভার্সিটি থেকে আসা আবির জানালেন আইয়ুব বাচ্চু আমার ছোটকাল থেকেই অনেক প্রিয়। এত কাছ থেকে প্রিয় শিল্পীর গান শুনে খুব ভাল লাগছে। বিপরীতটাও শোনা গেল অনেকের মুখে। সারাদিন রোদে বসে থেকে আমাদেরকে এত কম গান শুনিয়ে শেষ করে দেওয়ায় মন খারাপ করেছেন অনেকেই।