Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বোমাতঙ্কে ফরাসি বিমানের জরুরি অবতরণ

French-airlinesবোমাতঙ্কে ফরাসি এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রাবাহী বিমান কেনিয়ায় জরুরি অবতরণ করেছে। কেনিয়ার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজ রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিমানটিতে একটি বোমাসদৃশ বস্তুর সন্ধান পাওয়ায় জরুরিভিত্তিতে এটি মোমবাসা বিমানবন্দরে অবতরণ করা হয়। বিমানটি প্যারিস থেকে মৌরিতিয়াস যাচ্ছিল।

মোমবাসার স্থানীয় সাংবাদিক করিম রাজন বলেন, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে বিমানটির টয়লেটে একটি ‘এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ পাওয়া গেছে। পরে এটি নিস্ক্রীয় করা হয়েছে।’

chardike-ad

জরুরি অবতরণের সময় নিরাপত্তা রক্ষীরা বিমানবন্দরটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। রাজন বলেন, কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে তারা একটি এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস পেয়েছে। কিন্তু নিশ্চিত হতে পারেনি প্রকৃতপক্ষে ওটা আসলে কী ছিল। তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।’

বিমানটি আকাশে উড়ার সময় এক যাত্রী জানায়, টয়লেটের একটি বাক্সের উপর স্কচটেপ পেছানো বোমাসদৃশ একটি বস্তু দেখা গেছে। ওই ব্যক্তি প্রথমে কেবিন ক্রুকে ঘটনাটি জানান। পরে কেবিন ক্রু পাইলটকে জানালে, তিনি জরুরি ভিত্তিতে বিমানটি কেনিয়ায় অবতরণ করেন।

কর্তৃপক্ষ কয়েকজন যাত্রীকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে। তাদেরই মধ্যে এক যাত্রী মোমবাসার স্থানীয় সংবাদিকদের বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ কী বলছে আমি এর কিছুই বুঝতে পারছি না। পৃথিবী এখন খুবই উন্মত্ত।’

ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক বিমান চলাচল বিষেশজ্ঞ অলিভার ম্যাকগি আল জাজিরাকে বলেন, পৃথিবীর সব দেশের বিমানবন্দরগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তাব্যবস্থার পর্যালোচনা করা দরকার। এই মুহূর্তে আমরা বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি লক্ষ করছি। প্রযুক্তিতে এখন নানা পরিবর্তন এসেছে। বোমার আকারও ছোট হয়ে আসছে। আর সন্ত্রাসীরাও আগের চেয়ে অনেক চৌকস। এখন আমাদের উচিত হবে জুতা ও কোমড়ের বেল্টের বিষয়েও সতর্ক থাকা।

কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ কায়সারি মোমবাসার বিমানবন্দর থেকে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বেশ কিছু যাত্রী সন্দেহের তালিকায় রয়েছে।’

তথ্যসূত্র : আল জাজিরা অনলাইন।