Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জাপানকে যুদ্ধে না জড়ানোর প্রত্যয় আবের

abeজাপানকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে না জড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানে বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন জারি হওয়ার প্রেক্ষিতে শুক্রবার এ মন্তব্য করেন আবে। উল্লেখ্য, এর ঠিক একদিন আগেই জঙ্গি বিমান বহনকারী দ্বিতীয় রণতরী নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে চীন। খবর এএফপি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাপানের পার্লামেন্ট যুদ্ধক্ষেত্রে সেদেশের সেনাদের মোতায়েনের বিধান রেখে একটি বিশেষ নিরাপত্তা আইন পাস করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এই প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এই আইনের বিরুদ্ধে জাপানে ব্যাপক বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার লোক এর প্রতিবাদে দেশটির রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। এছাড়া জাপান সরকারের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল চীন ও কোরিয়া উপদ্বীপও। সমালোচকরা বলছেন, নতুন আইনের বদৌলতে হয়তো বিদেশের মাটিতে যুদ্ধে অংশ নিতে পারে জাপান, যেমনটি এখন করছে যুক্তরাষ্ট্র।

chardike-ad

তবে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নতুন আইনটি করা হয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য। যেকোনো পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঠেকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা। এজন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে জাপানকে গড়ে তুলতে এরই মধ্যে একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলেছি আমরা। পরবর্তী প্রজন্মকে একটি নিরাপদ ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যত্ উপহার দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

অন্যদিকে এমন সময়ে আবে এই বক্তব্য দিয়েছেন, যার মাত্র একদিন আগেই বিমানবাহী দ্বিতীয় রণতরী নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে চীন। ৫০ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই রণতরীটি বহন করবে চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত জে-১৫ যুদ্ধবিমান।

গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোর সামরিক নীতিতেও এর প্রভাব পড়তে চলেছে। জাপানের সাম্প্রতিক নিরাপত্তা আইনও এর একটি প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হয়। বলা হচ্ছে, চীনের আগ্রাসী সামরিক নীতিই জাপান সরকারকে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।