Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশি রতন চৌকিদার এখন ‌’মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান’!

rotonবেশ কয়েকদিন ধরে মালয়েশিয়ার স্যোশাল মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায় আলোচনার ঝড় তুলেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি রতন চৌকিদার। রেস্টুরেন্টের একজন সাধারণ কর্মী রতন দেখতে নাকি হুবহু মালয়েশিয়ার আইজিপি তানশ্রী খালিদ আবু বাকারের মতো। তাই অনেকেই তাকে ইদানিং ‘মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান’ হিসেবে ডাকতে শুরু করেছেন।

মালয়েশিয়ার প্রধান-প্রধান পত্রিকাগুলোতে গত ৩ জানুয়ারি রতন চৌকিদারকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন বের হয়েছে। অবশ্য তার আগে ফেসবুকে তিনি আলোচিত হন। ৩৭ বছর বয়সি এই বাংলাদেশির চেহারা, হাসি, চুল, নাক, মুখ সবকিছু হুবহু মিলে যায় মালয়েশিয়ার আইজিপি তানশ্রী খালিদ আবু বাকারের সাথে।

chardike-ad

MD RATON CHOUKIDAR / RESTORAN PAK MAL কিছুদিন আগে একজন মালয়েশিয়ান ফেসবুকে তার ছবি আপলোড দেওয়ার পর থেকে আইজিপির সাথে তার চেহারার মিলের কথা প্রচার হয়ে পড়ে চারিদিকে। ইংরেজি নববর্ষের দিন আরেকজন মালয়েশিয়ান আইজিপির একটি ছবি হাতে দিয়ে তার ছবি তোলে আপলোড করার পর সবার মনে কৌতুহল জাগে তাকে দেখার জন্য। মালয়েশিয়ার শাহ আলম এলাকা ১০ নম্বর সেক্টরে ‘পাক মাল নাসি কান্দার’ নামের যে রেস্টুরেন্টে রতন কাজ কনেন, সেখানে এখন তাকে দেখতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে।

মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমকে নিজের এই হঠাৎ বিখ্যাত হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে রতন চৌকিদার বলেন, একদিন এক কাস্টমার জানালো আমি নাকি কোন এক পুলিশের মতো দেখতে। অনুরোধ করে উনি আমার সাথে একটি ছবি তুললো। আমি তেমন কিছু বুঝি নাই। তবে পরের দিন থেকে দেখি অনেকেই আমাকে ‘পুলিশ সাহেব’ বলে ডাকছেন।।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অনেকেই এসে আমার সঙ্গে ছবি তুলছেন।আমিও খুশি মনে তাদের আবদার পূর্ণ করি। আমার ভালোই লাগে।

MD RATON CHOUKIDAR / RESTORAN PAK MAL রতন জানান, সবাই তাকে বলে তিনি নাকি হুবহু আইজিপি’র মতো দেখতে। তাই তার খুব ইচ্ছে করে মালয়েশির পুলিশপ্রধানকে দেখতে এবং তার সঙ্গে ছবি তুলতে।

রতন চৌকিদার যে রেস্টুরেন্টে কাজ করেন তার ম্যানেজার স্থানীয় আমিরুল মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, রতন এখানে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে। সে একজন সৎ এবং পরিশ্রমী কর্মী। রতনের চেহারা আইজিপির সাথে মিল তা আমি খেয়াল করিনি। যদিও আমি পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন দেখি। তবে এক কাস্টমার এই মিল ধরিয়ে দেওয়ার পর আমিও মিল খুঁজে পেয়েছি।

ম্যানেজার আরো বলেন, রতন চৌকিদারকে দেখতে অনেকেই এখন এ রেস্টুরেন্টে আসছেন। ফলে আমাদের কাস্টমারের সংখ্যাও আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে।