Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়ার নিয়ন্ত্রণে কেসং শিল্পপার্ক

Kaesongদুই কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠিত কেসং শিল্পপার্কের দক্ষিণ কোরিয়ার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরীয় সৈন্যরা সেখান থেকে দক্ষিণ কোরীয় ম্যানেজারদেরও বের করে দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক রকেট উতক্ষপণের পর থেকেই কোরীয় উপদ্বীপে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে কেসং যৌথ শিল্পপার্কে নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। স্নায়ুযুদ্ধের অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়া পাল্টা ব্যবস্থাটি নিল। দেশটি জানিয়েছে, এখন থেকে সেনাবাহিনী শিল্প এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করবে।

chardike-ad

ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষতার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সুলভ শ্রমবাজারের মেলবন্ধন ঘটাতে কেসং শিল্পপার্কটির পথ চলা শুরু হয়। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার মালিকানাধীন ১২৩টি কোম্পানিতে উত্তর কোরিয়ার ৪৫ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করতেন। এখানকার কারখানাগুলোয় ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যমানের টেক্সটাইল ও ইলেকট্রনিকসের মতো পণ্য তৈরি করা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, কেসং ত্যাগের সময় কর্মকর্তারা শুধু ব্যক্তিগত সম্পদগুলোই সঙ্গে নিতে পারবেন। কর্মকর্তারা সবাই চলে গেলে প্রতিবেশীর সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে দেশটি ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া দুই কোরিয়ার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র মহাসড়কটিও তারা বন্ধ করে দেবে। ২০০৪ সালে কেসং শিল্পপার্কের উত্পাদন শুরুর পর থেকে এর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে মহাসড়কটি খুলে দেয়া হয়।

সিউলের কেসং বর্জন সিদ্ধান্তের মাত্র একদিন পর এমন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিল পিয়ং ইয়ং। শিল্পপার্কটি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে অর্থের জোগান দিচ্ছে, এমন অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়া সেখান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। দক্ষিণের দাবি, উত্তর কোরিয়ার দুটি সামরিক প্রকল্পই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বেশক’টি বিধানে নিষিদ্ধ রয়েছে।

‘সানশাইন পলিসি’ যুগে যতগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে একমাত্র কেসংয়ের কার্যক্রমই এখনো চালু ছিল। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে আন্তঃকোরীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই কোরিয়া বেশক’টি যৌথ প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। শিল্প পার্ক বন্ধের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিভক্ত উপদ্বীপে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের যে আশা করা হয়েছিল, সে প্রদীপের শেষ সলতেটুকুও নিভে গেল।