উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে শান্তিচুক্তি-সংক্রান্ত আলোচনার একটি প্রস্তাব পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে পরমাণু কর্মসূচি সীমিতকরণে উত্তর কোরিয়া রাজি না হওয়ায় এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপি।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জন কিরবি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি জানান, কোরীয় অঞ্চলে বিদ্যমান যুদ্ধাবস্থার অবসানে উত্তর কোরিয়া একটি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব করেছিল। সাম্প্রতিক পারমাণবিক পরীক্ষার আগে এ নিয়ে ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কিছু দূর আলোচনাও হয়। জর্ডানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কিরবি বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, এটি ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি। আমরা তাদের প্রস্তাবনা নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছিলাম। এও জানানো হয়েছিল যে, পরমাণু কর্মসূচি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ নিয়ে শক্তিশালী কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়। তবে উত্তর কোরিয়া আমাদের এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি।’
১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানে চলতি বছরের প্রথম দিকে পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ পরমাণু পরীক্ষার মাত্র দিনকয়েক আগে ওবামা প্রশাসন গোপনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে— এ-সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন কিরবি।
বিষয়টির সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনার পূর্বশর্ত ছিল— উত্তর কোরিয়াকে আগে অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে সরে আসতে হবে। কিন্তু হোয়াইট হাউজ তার দীর্ঘদিনের এ অবস্থান থেকে সরে এসে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিকে কেবল আলোচনার অংশ হিসেবে রেখেছে।
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সর্বশেষ পরমাণু পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ও নিন্দার ঝড় ওঠে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নতুন করে কঠোর অবরোধ আরোপের বিষয়ে সম্মত হয়। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কংগ্রেস অনুমোদিত নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপে স্বাক্ষর করেছেন।