Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়ায় পশ্চিমা ওয়েবসাইট বন্ধ

north-koreaঅনলাইনে তথ্যের অবাধ বিস্তার নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে উত্তর কোরিয়া সরকার। বিশেষ করে পশ্চিমা ওয়েবসাইট বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে দেশটি। এজন্য সরকারের নির্দেশে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বেশকিছু পশ্চিমা ওয়েবসাইট বন্ধ করা শুরু হয়েছে। এমনকি প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ারও বেশকিছু ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দ্য ইনডিপেনডেন্ট।

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ সেলফোন অপারেটর কোম্পানি কোরীয়লিংক। প্রতিষ্ঠানটির হোমপেজে দেশটির ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার অধিকাংশের আগে থেকেই ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার নেই। এ কারণে সরকার গৃহীত সিদ্ধান্তে দেশটির সর্বসাধারণের ওপর খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে না।

chardike-ad

বড় পরিসরে ওয়েব ব্রাউজ করার চেয়ে, দেশটির নাগরিকরা সরকার অনুমোদিত সিল করা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিদেশীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর কোনো সীমাবদ্ধতা ছিল না। যদিও তাদের কার্যক্রমের ওপর গোপনে নজরদারি করা হয় বলে ধারণা করা হয়।

বলা হচ্ছে, পশ্চিমা ওয়েবসাইট বন্ধের কারণে উত্তর কোরিয়ায় আগন্তুক এবং বেশকিছু বিদেশী নাগরিকের জন্য বাইরের জগতের সঙ্গে সাম্প্রতিক তথ্য আদান-প্রদান কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের ঘোষণায় বলা হয়, যদি কেউ বন্ধ করা সাইটগুলোয় অবৈধ কোনো উপায়ে প্রবেশের চেষ্টা করে বা সাইটগুলো ব্যবহার করতে কোনো প্রজাতন্ত্রবিরোধী তথ্য বিতরণ করে, সেক্ষেত্রে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। যদিও শাস্তির ধরন উল্লেখ করা হয়নি। অবশ্য লঘু অপরাধে গুরুতর শাস্তি দিতে উত্তর কোরিয়ার জুড়ি নেই।

২০১৩ সালে উত্তর কোরিয়ায় প্রথম ইন্টারনেট উন্মুক্ত করা হয়। এর পর থেকে দেশটিতে থ্রিজির ব্যবহার শুরু হয়। এতে দেশটির সাধারণ মানুষ ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ব্যবহার, এমনকি সরাসরি ভিডিও সম্প্রচারের সুযোগ পান।