ক্রিকেটের ঈশ্বর বলা হয় তাকে।আর এই ক্রিকেটের ঈশ্বরকে সবাই চেনেন এক নামে তিনি হলেন শচীন টেন্ডুলকার।তার সঙ্গে এখন আর সম্পর্ক নেই ছোটবেলার বন্ধু বিনোদ কাম্বলির।
কারণে অকারণে কাম্বলি এখন আক্রমণ করেন শচীনকে। মাস্টার ব্লাস্টার কোনো মন্তব্য করেন না। কাম্বলি একবার বলেছিলেন, ‘‘মনে হচ্ছে আমি আর শচীন এখন শত্রু হয়ে গিয়েছি।’’
শচীন ও কাম্বলি একসময় অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ছিলেন, এটা এখন গল্পকথার মতোই শোনায়।
একটি টেলিভিশন শোতে শচীন প্রসঙ্গে কাম্বলি বলেছিলেন, প্রয়োজনের সময় শচীনের কাছ থেকে তিনি কোনো সাহায্যই পাননি। এটাই আগুনে ঘি ঢেলেছিল।
কাম্বলি কিন্তু খুব একটা ভুল বলেননি। প্রয়োজনের সময় শচীন কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি সৌরভের দিকেও। অথচ সৌরভের সঙ্গে সেই ছোটবেলা থেকেই খেলেছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। দুজনেই দুজনের পরিচিত। আসল সময়তেই শচীনকে পাশে পাননি সৌরভ।
সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেটে গ্রেগ চ্যাপেল জমানা। সৌরভের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেই চলেছেন অজি কোচ।গোটা ভারত গুরু গ্রেগকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু শচীনকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি সৌরভের সমর্থনে। অন্তত সেই সময়ে শচীন গ্রেগ চ্যাপেল-সৌরভ অধ্যায় নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। একবারের জন্যও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে চ্যাপেলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেননি।
সৌরভ ‘মাস্টার ব্লাস্টার’-এর কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করেছিলেন জানা নেই। তবে সেই কঠিন পরিস্থিতিতে শচীন যদি সৌরভের পাশে এসে দাঁড়াতেন, গ্রেগের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেন তাহলে ছবিটা অন্যরকম হতেই পারত।
সীমা ছাড়িয়ে শচীনের পিছনে লাগতে গিয়েই সর্বনাশ হল গ্রেগের। শচীনও আর সহ্য করতে না-পেরে বিস্ফোরণ ঘটালেন। বিসিসিআই-ও পত্রপাঠ বিদায় করলেন গ্রেগকে। আরো আগেই শচীন বোমাটা ফাটাতে পারতেন।
সেই সময় তিনি মৌনব্রত নেন।
পরে আত্মজীবনীতে অনেক অজানা কথা লিখেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। আসলে শচীন নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে চেয়েছিলেন। সব বড় ক্রিকেটারই তাই চান। সেই জন্যই বিতর্কে জড়াতে চাননি। সৌরভেরও পাশে দাঁড়াননি।
সূত্রঃ নতুন বার্তা