পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটে ক্লোরিন রয়েছে। সীমান্তের ওপারে শুল্ক কর্মকর্তারা ‘দ্বৈত প্রয়োগের’ আশঙ্কায় ওষুধটির চালান আটকে দিয়েছেন। যক্ষ্মা নিরূপণ কেন্দ্রের জন্য সোলার প্যানেল আনা সম্ভব হয়নি। ‘মিলিটারি গ্রেড’ পণ্য বলে চীনা শুল্ক বিভাগ তা আনতে দেয়নি। ঝামেলা এড়াতে চায় ব্যাংকগুলোও। উত্তর কোরিয়ায় তহবিল স্থানান্তর করে জটিলতায় জড়াতে চায় না তারা। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে তাই নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে সাহায্য সংস্থাগুলোর কার্যক্রম।
আন্তর্জাতিক সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী আমদানি খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর ইস্যু হওয়ায় তিনি পরিচয় প্রকাশে অপারগতা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন, কাল যদি বড় ধরনের বন্যা হয়, তাহলে কি হবে? আমাদের কিছু মজুদ আছে। কিন্তু স্বল্প সময়ে জরুরি সহায়তা আনা সম্ভব হবে না।
উত্তর কোরিয়ায় আড়াই কোটি নাগরিকের মধ্যে পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন এক কোটির বেশি। কোনো না কোনোভাবে মানবিক সাহায্য প্রয়োজন ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়টি বারবার সংবাদ মাধ্যমে আসছে। চলতি বছরের শুরুতেও দেশটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের উপর্যুপরি সমালোচনা হচ্ছে সর্বত্র। এ কারণে দেশটিতে সক্রিয় সাহায্য সংস্থাগুলোর সাপোর্ট নেটওয়ার্ক ভালো রকম ঝাঁকুনি খেয়েছে। গত মার্চে আরোপিত নতুন অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা সংস্থাগুলোর আরো কিছু পার্টনারকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
মানবিক কার্যক্রম অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয়। তা সত্ত্বেও বেসরকারি খাতের অনেক ব্যাংক, শিপিং কোম্পানি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান উত্তর কোরিয়ায় সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে বলে সাহায্য সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি ও ডব্লিউএইচও— জাতিসংঘের এ পাঁচটি সংস্থার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ায় সক্রিয় রয়েছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। সূত্র: এএফপি