Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় চেয়েছে উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিক

North-South-Koreaহংকংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কনসুলেটে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিক। তার পরিচয় সম্পর্কে পরিষ্কার কোন ধারণা পাওয়া যায় নি। তবে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট রিপোর্ট করেছে যে, ওই ব্যক্তি শিক্ষা বিষয়ক এক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দু’সপ্তাহ আগে হংকংয়ে যান। তিনি হংকংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কনসুলেটে আশ্রয় চাওয়ায় সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। হংকংয়ের কূটনৈতিক বিষয়গুলোর নিষ্পত্তির কর্তৃত্ব চীনের হাতে। চীন সরকার বিষয়টি অবহিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

চীনা পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। তবে ওই কনসুলেটের প্রবেশপথের বাইরে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে। সাংবাদিকদের সেখান থেকে কোন দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করতে দেয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, পিয়ংইয়ং থেকে কেউ স্বপক্ষ ত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় চাওয়ার বিষয়ে তারা কোন মন্তব্য করার অবস্থায় নেই।

chardike-ad

স্থানীয় মিডিয়া বলছে, ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন ফাইল ফাঁস করে দেয়ার ফলে এডওয়ার্ড স্নোডেনকে নিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে হংকংয়ে সেই একই রকম অবস্থা সৃষ্টি হোক তা চাইছে না হংকং সরকার। হংকং পরিচালিত হয় চীনা নিয়ন্ত্রণে। সাধারণত উত্তর কোরিয়ার কোন নাগরিক অবৈধভাবে তাদের ভূখন্ডে প্রবেশ করলে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া থেকে কেউ আশ্রয় চাইলে তাদেরকে নিয়ে নেয় দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাদেরকে পুনর্বাসন করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কোরিয়া যুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করে ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। এপ্রিলে এভাবে উত্তর কোরিয়ার ১৩ জন নাগরিক দেশ ত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেন। একবারে এটাই সবচেয়ে বেশি মানুষের দেশ ত্যাগের ঘটনা।