Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া সমস্যা তীব্র, প্রতিকার দাবি

houseদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি সমস্যার উত্থানের কারণে ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভাড়াটিয়া পরিষদ। একই সঙ্গে বাড়িওয়ালাদের নির্যাতন ও পুলিশি হয়রানির অভিযোগও করেছে সংগঠনটি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার নির্মল সেন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন পরিষদের নেতারা।

chardike-ad

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলমান বাহার।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশের ব্যাচেলরদের ওপর সীমাহীন ভোগান্তি নেমে এসেছে। একদিকে পেশাজীবী-শ্রমজীবী-শিক্ষার্থী ব্যাচেলরদের নতুন বাসা পেতে যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, তেমনি পুরোনো বাসায় বাড়িওয়ালাদের  অত্যাচার ও পরবর্তী মাস থেকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা রকম পুলিশি হয়রানি। এ অবস্থায় ব্যাচেলররা আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

গুলশান-শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে হলে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৪ ধারা মতে প্রতিটি ভাড়াটিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাড়ি ভাড়া দিতে হবে। এতে সরকার শত শত কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। আয়কর বিভাগও ভাড়ার সঠিক তথ্য পাবে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, গত ১ জুলাইয়ের পর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাচেলর ভাড়াটিয়াদের কেন্দ্র করে পুলিশের তল্লাশিসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গুটিকতক জঙ্গির কারণে লাখ লাখ ব্যাচেলর ছেলেমেয়ে মানসিক ও অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ভাড়াটিয়া পরিষদ।

এরই মধ্যে বিভিন্ন বাড়ির মালিকরার বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন জানিয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো কোনো এলাকায় ব্যাচেলরদের ভাড়া দেওয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ৩৫ লাখ ব্যাচেলর ভাড়াটিয়ার আবাসন নিয়ে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

এসবের প্রতিবাদে আগামী ১১ আগস্ট রাত ৮টা থেকে থেকে ৯টা পর্যন্ত আবাসনে ভোগান্তির প্রতিবাদে একটি বালিশসহ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘প্রতীকী প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করার ঘোষণা দিয়েছে ভাড়াটিয়া পরিষদ।