উপর্যুপরি পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জের ধরে উত্তর কোরিয়াকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে একঘরে করার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। তবে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এক দল সাবেক মার্কিন কূটনীতিক সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে উত্তর কোরিয়ার পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। খবর এএফপি।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার এ অনানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াটিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ‘ট্র্যাক টুু’ নাম দিয়েছে। এর আগেও ট্র্যাক টু প্রক্রিয়ায় সিঙ্গাপুর, বার্লিন, বেইজিংসহ বিভিন্ন শহরে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দুদিনের এ বৈঠকের খবর নিশ্চিত করেছে।
এর আগে দুই দেশের একমাত্র অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ চ্যানেলটির নাম ছিল ‘নিউইয়র্ক চ্যানেল’। গত জুলাইয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পিয়ংইয়ং নিউইয়র্ক চ্যানেল বন্ধ করে দেয়।
কুয়ালালামপুরের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন কূটনীতিক রবার্ট গালুচ্চি ও শিক্ষাবিদ লিয়ন সিগাল। উত্তর কোরিয়ার পক্ষে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হান সং-রিয়ল, যিনি জাতিসংঘে দেশটির উপরাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন।
লিয়ন সিগাল জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচি নিয়েই বৈঠকে বেশি কথা হয়েছে। কোরীয় পক্ষ বলেছে, অস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার শান্তিচুক্তি হতে হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়াকে সবার আগে অস্ত্র কর্মসূচি বাতিল করতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে উত্তর কোরিয়া আগ্রহী না হলে বৈঠকের যেকোনো উদ্যোগ তাদের ভুল আচরণের যৌক্তিকতাই তুলে ধরবে।