Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, বিদায়’

siriya

আলেপ্পোতে সিরীয় সরকারি বাহিনীর অভিযানের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক সিরীয় পরিবার লেখে, ‘আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, বিদায়।’ ছবি : সিএনএন

chardike-ad

 

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে গত শনিবার থেকে চলছে সরকারি বাহিনীর অভিযান। বিদ্রোহীদের দখল থেকে আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলকে উদ্ধারে চলা এ অভিযানে চলছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। গুলি-বোমার সঙ্গে আক্রান্ত শহরবাসীর আর্তচিৎকারে  ভারি হয়ে উঠছে আলেপ্পোর আকাশ-বাতাস। আহত হয়েছে কমপক্ষে পাঁচজন।

আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে ফাতেমা নামের এক নারীর পরিবারও। আলেপ্পো শহরের পূর্বাঞ্চলে তিন সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি। শহরের এই অংশটি রয়েছে বিদ্রোহীদের দখলে।

গত রোববার রাতে এক বোমা হামলায় নিজ চোখের সামনে তাদের বাড়িটি ধ্বংস হতে দেখে ফাতেমার পরিবার।

হামলার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ফাতেমা বলেন, রোববার সন্ধ্যায় শহরে বিমান হামলা চালানো হয়। ওই সময় তাঁদের বাড়িতে একটি বোমা সরাসরি আঘাত হানে। এতে বাড়িটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। পরে তারা গোলাবর্ষণ থামার অপেক্ষায় রাস্তায় আশ্রয় নেন।

রোববার হামলা চলাকালে ফাতেমা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে লেখেন, ‘শেষ বার্তা, আমরা এখন তীব্র বোমাবর্ষণের মধ্যে রয়েছি। আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আমরা মারা গেলে, শহরের ভেতরে যে দুই লাখ বাসিন্দা রয়েছে, তাঁদের কথা সবার কাছে জানিয়ে দিও। বিদায়।’

হামলা শেষে টুইটারে একটি পোস্ট করে ফাতেমার মেয়ে বানা আলাবেদ। ওই পোস্টে সাত বছর বয়সী বানা লেখে, ‘এই রাতে আমাদের কোনো বাড়ি নেই। সেটি বোমায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আছি। আমি মৃত্যু দেখেছি এবং আমিও প্রায় মারাই যাচ্ছিলাম।’

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বানাকে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিলেন ফাতেমা। তিনি জানান, সরকারি বাহিনী আলেপ্পো পুনর্দখলের অভিযান চালানোর পর থেকে সেখানে দুর্বিষহ পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরাই ছিল অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার উদ্দেশ্য।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়া সরকারি বাহিনীর এ অভিযানের পর থেকে হাজার হাজার মানুষ বিদ্রেহীদের নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পো ছাড়ছে।

এ বিষয়ে সরকারি বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্রোহীদের অধিকৃত এলাকা থেকে বাসিন্দারা যেন  নিরাপদে সরে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করেছে তারা।