Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

থাড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রথম আঘাত কোরীয় ব্যবসায়

থাড নিয়ে বিপাকে দক্ষিণ কোরিয়া

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনকে ঘিরে সিউল ও বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ভুগছে। কনটেন্ট, ট্যুরিজম ও রিটেইল খাতের বেশির ভাগ কোম্পানি বলেছে, আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিরোধে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গতকাল প্রকাশিত এক জরিপে এ কথা জানা গেছে। খবর ইয়োনহাপ।

chardike-ad

কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (কিটা) সে দেশের ৫৯৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর এ জরিপ চালিয়েছে। এতে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, চীনের আপাত বিরোধিতা এরই মধ্যে তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জরিপে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা চীনের বৈরী পদক্ষেপের প্রভাব অনুভব করবেন।

গত বছরের জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সে দেশের মাটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টার্মিনাল হাই অ্যাল্টিটিউট এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ব্যবস্থা মোতায়েনে সম্মতি দেয়। বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা এতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, থাড ব্যবস্থার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন র্যাডার চীনা সামরিক বাহিনীর ওপর গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহূত হবে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে থাড ব্যবস্থার যন্ত্রাংশ এরই মধ্যে কোরিয়ায় পৌঁছাতে শুরু করেছে। ওয়াশিংটন ও সিউলের কর্মকর্তারা বলেছেন, এপ্রিল নাগাদ থাড ব্যবস্থা মোতায়েন সম্পন্ন হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীন। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশটি কোরিয়ামুখী ট্যুর প্যাকেজ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপের পাশাপাশি চীন স্থানীয় আকাশসেবা সংস্থাগুলোকেও কোরিয়াগামী ফ্লাইট বৃদ্ধিতে বাধা দিয়েছে। চীনের এ ধরনের বৈরী পদক্ষেপ অনেকের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে যে কোরিয়ার পর্যটন ও রিটেইল প্রতিষ্ঠানগুলো থাড বিরোধের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হবে। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণকারী ১ কোটি ৭২ লাখ পর্যটকের প্রায় অর্ধেক এসেছিলেন চীন থেকে।

কিটা জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪০ শতাংশ বলেছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ কোরীয় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সনদ ও অনুমোদন দিতে যে কালক্ষেপণ করছে, সেটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ হবে। ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, পূর্বপরিকল্পিত বিভিন্ন ইভেন্ট বাতিলের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে চীনের অর্থনৈতিক জবাব প্রলম্বিত হবে বলে জরিপের ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা মতপ্রকাশ করেছেন।