উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়মিত ভিত্তিতে ‘কৌশলগত’ অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মিত্রপক্ষগুলোর চুক্তি অনুযায়ী এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। খবর ইয়োনহাপ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, উত্তর কোরিয়াকে নিরস্ত্র করার লক্ষ্যে জোটের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে দুপক্ষ। এর জন্য মার্কিন কৌশলগত অস্ত্র মোতায়েন জোরদার করার পাশাপাশি বিস্তৃত পরিধিতে অন্যান্য বিকল্প অন্বেষণ করা হবে। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মোকাবেলায় প্রয়োজনে গণবিধ্বংসী ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারেও সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। ওয়াশিংটনে দুই দিনব্যাপী কোরিয়া-ইউএস ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স ডায়ালগ (কেআইডিডি) থেকে এসব বিষয়ে সম্মতি দেয়া হয়।

chardike-ad

এ মুহূর্তে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পদের মধ্যে উচ্চ বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে, যা সাধারণত মাইক্রোনেশিয়ার গুয়াম, জাপান বা মার্কিন মূল ভূখণ্ডের ঘাঁটিতে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে বি-২, বি-ওয়ানবি ও বি-৫২ বোম্বার, এফ-৩৫ ফাইটার জেট এবং বিমানবাহী রণতরী।

এদিকে কোরীয় দ্বীপপুঞ্জে টার্মিনাল হাই অল্টিচিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) স্থাপনের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে দুই মিত্র পক্ষ। কেবল উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও থাড স্থাপনের জোর বিরোধিতা করে আসছে চীন।